কথিত আছে, প্রত্যেক সফল পুরুষের পিছনে নাকি কোনও এক নারীর অবদান থাকে। কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সফল রাজনৈতিক জীবনের পিছনেও তেমনই এক নারীর অবদান রয়েছে।
কে তিনি? জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার স্ত্রী প্রিয়দর্শিনী রাজে সিন্ধিয়া। অনেকেই তাঁকে চেনেন না।
২০০১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশে এক বিমান দুর্ঘটনায় মাধবরাও সিন্ধিয়ার মৃত্যু হয়। তার পরেই রাজনীতিতে আসেন মাধবরাও-পুত্র জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
২০১৯ সাল পর্যন্ত গুণার সাংসদ ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৯ সালে গুণা হাতছাড়া হয় জ্যোতিরাদিত্যের। বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণপাল সিংহ যাদবের কাছে পরাজিত হন তিনি।
২০০২ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত গুণা লোকসভা কেন্দ্রে তাঁর জয়ের পিছনে স্ত্রী প্রিয়দর্শিনীর অবদান কিছু কম ছিল না।
প্রতি বারই নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোষণার আগে থেকেই স্বামীর জন্য মাঠে নেমে পড়তেন প্রিয়দর্শিনী। একেবারে তৃণমূল স্তরে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করতেন।
দলীয় কর্মীদের সঙ্গেও বৈঠক করে তাঁদের মনোবল ধরে রাখতে সাহায্য করতেন প্রিয়দর্শিনী। দলের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন, তিনিও বুঝি সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেবেন। তবে এখনও তেমন কিছু ঘোষণা করেননি প্রিয়দর্শিনী রাজে সিন্ধিয়া।
কে এই প্রিয়দর্শিনী রাজে সিন্ধিয়া? কী ভাবে জ্যোতিরাদিত্যের সঙ্গে পরিচয় তাঁর?
১৯৭৫ সালে গুজরাতে জন্ম প্রিয়দর্শিনীর। গুজরাতে বডোদরা (তৎকালীন বরোদা)-র গায়কোয়াড় পরিবারের রাজকুমারী ছিলেন তিনি।
তাঁর বাবা কুমার সংগ্রামসিংহ গায়কোয়াড় ছিলেন বডোদরার শেষ শাসক। তিনি শাসক প্রতাপ সিংহ রাও গায়কোয়াড়ের অষ্টম সন্তান ছিলেন।
১৯৫১ পর্যন্ত সাম্রাজ্য শাসন করেছেন তাঁর বাবা। প্রিয়দর্শিনীর মা আশারাজে গায়কোয়াড়ও নেপালের রাজপরিবারের মেয়ে।
প্রিয়দর্শিনী মুম্বইয়ের ফোর্ট কনভেন্ট স্কুল থেকে পড়াশোনা করেন। পরে উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি মুম্বইয়ের সোফিয়া কলেজে ভর্তি হন।
১৯৯১ সালে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে তাঁর পরিচয়। তার তিন বছর পর ১৯৯৪ সালে জোতিরাদিত্যকে বিয়ে করেন তিনি।
প্রথম দেখাতেই নাকি প্রিয়দর্শিনীকে ভাল লেগে গিয়েছিল জ্যোতিরাদিত্যের। তাঁদের এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে।
রাজপরিবারের মেয়ে প্রিয়দর্শিনী ২০১২ সালে ফেমিনা-র প্রথম ৫০ ভারতীয় সুন্দরীর তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন।