ইক্সা হ্যাঙ্গ সুব্বা ওরফে ইক্সা কেরুঙ্গ সিকিমের মেয়ে। সিকিমের গর্বও তিনি। সারা দেশের সেরা সুপারমডেল হওয়ার দৌড়ে সিকিমের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি।
তবে শুধু এই কারণেই ইক্সা চর্চায় নেই। তিনি চর্চায় উঠে এসেছেন নিজ গুণে। সুপারমডেল প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি ইক্সা একাধারে পুলিশকর্মী, বক্সার, বাইকারও বটে। একাধিক পরিচয় তাঁর।
২০১৯ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে সিকিম পুলিশে যোগ দেন তিনি। পুলিশের পোশাক পরে, ভারী বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে থাকার একাধিক ছবি ইনস্টাগ্রামে অনুগামীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।
পুলিশের পোশাক পরলেই চোখ-মুখ দৃঢ় হয়ে যায় ইক্সার। আবার একই ভাবে মডেলিংয়ের সময় যেন লাবণ্যে ভরে ওঠে তাঁর মুখ। নিমেষে নিজের মধ্যে এই পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন তিনি।
কোনও পেশাকেই কম গুরুত্ব দেন না ইক্সা। তিনি একাধারে পুলিশের দায়িত্ব যেমন গুরুত্বের সঙ্গে পালন করেন, মডেলিংকেও সমান গুরুত্ব দেন। সেই কারণেই বোধ হয় সমান্তরাল ভাবে দুটো পেশাকেই বয়ে নিয়ে চলতে পারছেন।
এমটিভি সিজন-২ এর ‘সুপারমডেল অব দ্য ইয়ার’ হয়েছেন তিনি। ওই মরসুমে যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজের পরিচয় দিচ্ছিলেন ইক্সা, হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন বিচারকের আসনে বসে থাকা মালাইকা অরোরা।
এক মহিলার এত গুণ দেখে তিনি দাঁড়িয়ে বলেন, “এ রকম মহিলাদের স্যালুট জানাই।’’
মাত্র ১৯ বছর বয়সে পুলিশের চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বন্দুকের নল যেমন ইক্সার ইশারায় চলে, তেমনই তিনি অত্যন্ত দক্ষ বাইকচালকও।
আরও একটি গুণ রয়েছে তাঁর। তিনি এক জন বক্সারও। সিকিম পুলিশে যোগ দেওয়ার আগে তিনি জাতীয় স্তরের বক্সার ছিলেন।
দেশের সেরা সুপারমডেল হওয়া স্বপ্ন দেখেন ইক্সা। মহিলাদের কাছে কিছুই অসম্ভব নয়, সারা বিশ্বের কাছে এটাই প্রমাণ করতে চান তিনি।