মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী ডাক্তারি পড়ুুয়া। —প্রতীকী চিত্র।
রাত আড়াইটে পর্যন্ত তিনি পড়ছিলেন। তাঁকে পড়াশোনা করতে দেখেছেন তাঁর সহপাঠীরাও। কিন্তু তার পর মাঝরাতে যে এমন কাণ্ড ঘটাবেন যুবক, তা কেউ আন্দাজ করতে পারেননি। রাত আড়াইটের পর তিনি কলেজ হস্টেলের ছাদে উঠে পড়েন। সেখান থেকে নীচে ঝাঁপ দেন। উদ্ধার করা হয় তাঁর দেহ।
রাজস্থানের উদয়পুরের ঘটনা। বিআর অম্বেডকর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র ছিলেন রাহুলকুমার গরসিয়া। এমবিবিএস কোর্সের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছিলেন। রাজস্থানের পালী শহর থেকে ডাক্তারি পড়তে তিনি উদয়পুরে গিয়েছিলেন। থাকতেন কলেজের হস্টেলে। আচমকা তাঁর এই মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেন না।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত আড়াইটে পর্যন্ত হস্টেলে নিজের ঘরে পড়াশোনা করছিলেন রাহুল। ৩টে নাগাদ উঠে যান হস্টেলের ছাদে। জ্যাকেট এবং চপ্পল খুলে, মোবাইলটি পাশে রেখে ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন তিনি। পড়াশোনা এবং পরীক্ষার ফল নিয়ে তিনি চিন্তিত ছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে। তাঁদের কলেজে পরীক্ষা চলছিল। কিছু দিন আগে একটি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে ওই ছাত্র কম নম্বর পেয়েছিলেন, দাবি তাঁর সহপাঠীদের।
ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় তারা কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্রের পরিবারের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিবগঞ্জের ডিএসপি পুষ্পেন্দ্র বর্মা। পরীক্ষার ফলাফলের জন্য তাঁকে কোনও ভাবে হেনস্থা করা হয়েছিল কি না, বাড়ি থেকে কোনও চাপ তাঁর উপর দেওয়া হয়েছিল কি না, পুলিশ খতিয়ে দেখছে।