সুপ্রিম কোর্ট। -ফাইল ছবি।
নির্বাচন কমিশনের আপত্তি টিকল না। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, আদালতে রায় বা পর্যবেক্ষণের সময় বিচারপতিদের মৌখিক বয়ানও প্রকাশ করতে পারে সংবাদমাধ্যম। সংবাদমাধ্যমকে তাতে বাধা দেওয়া যায় না। বাধা দেওয়া হলে বাকস্বাধীনতার অধিকার খর্ব করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৪ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে বিধানসভা ভোট চলার সময় মার্চে কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার যাবতীয় দায় নির্বাচন কমিশনের উপর চাপিয়েছিল মাদ্রাজ হাই কোর্ট। আদালত বলেছিল, ‘‘কমিশনকে খুনি বললেও অত্যুক্তি হয় না।’’ সেই মন্তব্য সব সংবাদমাধ্যমেই সবিস্তারে প্রকাশিত হয়েছিল।
কমিশন তাতে আপত্তি জানিয়ে একটি মামলা করে সুপ্রিম কোর্টে। তাতে কমিশনের তরফে বলা হয়, কোনও রায় বা পর্যবেক্ষণের সময় বিচারপতিদের লিখিত মন্তব্যগুলিই সংবাদমাধ্যমের প্রকাশ করা উচিত। বিচারপতিদের মৌখিক বয়ান প্রকাশ করা উচিত নয়।
বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে শীর্ষ আদালতের একটি বেঞ্চ বলেছে, ‘‘আদালতের শুনানির পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রকাশ করার ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা যায় না। এটা বাক্স্বাধীনতার বিশেষ অংশ। তাই আদালত ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে না। এখন ডিজিটাল মাধ্যমের যুগ। মানুষ ইন্টারনেটে সব সময় নতুন নতুন খবর সার্চ করছেন। খবর পেতে চাইছেন। সেই খবর তো তাঁদের দিতে হবে সংবাদমাধ্যমকে।’’
তবে, সুপ্রিম কোর্টের ওই বেঞ্চ অবশ্য এ-ও বলেছে, ‘‘আদালতে মন্তব্য করা সময় আরও সচেতন হতে হবে বিচারপতিদের। তাঁদের আরও দায়িত্বশীল হয়ে উঠতে হবে। যাতে আদালতে কোনও মামলার শুনানিতে কোনও অনভিপ্রেত মন্তব্য তাঁরা না করে বসেন।’’