ফাইল চিত্র।
দীর্ঘদিন পরে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে বিএসপি নেত্রী মায়াবতীকে প্রকাশ্যে সরব হতে দেখা গেল বিজেপির বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে এসপি বিধায়ক আজ়ম খানের পাশে দাঁড়ালেন তিনি। মায়াবতীর টুইট, “উত্তরপ্রদেশ এবং অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যে দরিদ্র, দলিত, আদিবাসী এবং মুসলিমদের উপরে অত্যাচার চলছে। মানুষকে হয়রান করা হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে। গোটা বিষয়টি দুঃখজনক।” তাঁর বক্তব্য, “প্রায় আড়াই বছর ধরে প্রবীণ বিধায়ক আজ়ম খানকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এটা ন্যায়বিচারকে হত্যা করা ছাড়া আর কী! দেশের অনেক রাজ্যে অভিবাসী এবং শ্রমজীবী মানুষেরা সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছেন।”
রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পর থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে বিএসপি নেত্রীর একটি কথাও শোনা যায়নি। বরং রাজ্যে ভোটের আগে যতটা পেরেছেন আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস এবং এসপিকে। স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধীদের এই পারস্পরিক লড়াইয়ে লাভবান হয়েছে বিজেপি। যোগী আদিত্যনাথের দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পিছনে মায়াবতীর সক্রিয় সহযোগিতা রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে তাঁর আজ ভিন্ন সুর কেন? এসপি শিবিরের বক্তব্য, বিজেপির প্রতি দীর্ঘ ‘আনুগত্যের’ পিছনে কেন্দ্রের সিবিআইয়ের জুজু রয়েছে ঠিকই। কিন্তু তার পরেও মায়াবতী বিজেপির কাছ থেকে আশা করছেন কিছু রাজনৈতিক মূল্য। সেই সমীকরণ মিলছে না বলেই বিজেপির উপরে চাপ তৈরি করতে চাইছেন মায়া।