—প্রতীকী চিত্র।
করোনায় ধুঁকছে দেশের অর্থনীতি। অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে জীবনধারণের ক্ষেত্রেও। এমন পরিস্থিতিতে প্রভিডেন্ট ফান্ডে বরাদ্দ বিমার অর্থের পরিমাণ বাড়াল এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও)। তবে এর জন্য কোনও সংস্থার কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে না। সাধারণ মানুষের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এমন সিদ্ধান্ত।
প্রভিডেন্ট ফান্ডের প্রত্যেক গ্রাহক এমপ্লয়িজ ডিপোজিট লিঙ্কড ইনসিয়োর্যান্স (ইডিএলআই) পান। এ ক্ষেত্রে যাঁর নামে প্রভিডেন্ট ফান্ড রয়েছে, কর্মরত অবস্থায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে বা দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলে অথবা স্বাভাবিক কারণে তাঁর মৃত্যু হলে, তাঁর পরিবারকে বিমা বাবদ মোটা টাকা দেওয়া হয়।
সেই টাকার পরিমাণই বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৭ লক্ষ করা হল, আগে যা ছিল ৬ লক্ষ। বিমা বাবদ সর্বনিম্ন টাকার পরিমাণও বাড়িয়ে আড়াই লক্ষ টাকা করা হয়েছে, যা আগে ছিল ২ লক্ষ টাকা। মৃত্যুর আগে শেষ ১২ মাস এক জন কর্মীর বেতন কত ছিল, তার উপরই বিমার টাকার অঙ্ক নির্ভর করে। যে সংস্থায় তিনি কর্মরত, সেই সংস্থা এবং সরকার ওই টাকা দেয়। কর্মীদের তার জন্য কোনও টাকা দিতে হয় না।
কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক জানিয়েছে, মৃত্যুর আগে শেষ ১২ মাসে যদি চাকরি বদলও করে থাকেন কেউ, তাঁর পরিবারও এই সুবিধা পাবেন। ঠিকা শ্রমিকরাও এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন না বলে জানানো হয়েছে।