সেনার পোশাকের সঙ্গে প্রায় হুবহু মিল রাজ্যসভার মার্শালদের পোশাকে। বিতর্ক উঠতেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত। —ফাইল চিত্র
তুমুল বিতর্কের মুখে শেষ পর্যন্ত পিছু হঠল কেন্দ্র। রাজ্যসভার মার্শালদের নতুন পোশাক বদলের সিদ্ধান্ত ফের পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিলেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু। ফলে আবারও ভোলবদল হতে পারে মার্শালদের পোশাকে, মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
রাজ্যসভার অধিবেশনের ২৫০তম অধিবেশন উপলক্ষে সোমবারই প্রথম সামনে আসে মার্শালদের নয়া বেশভূষা। আগেকার গলাবন্ধ ও মাথায় পাগড়ি সরে গিয়ে নতুন নেভি ব্লু পোশাকে দেখা যায় মার্শালদের। তার সঙ্গে সেনার মতো মাথায় ‘পিক ক্যাপ’ এবং কাঁধে ‘স্ট্রাইপস’, বাঁ দিকে সোনালি দড়ি।
কিন্তু মার্শালদের এই পোশাক বদল নিয়ে সংসদের ভিতরে বাইরে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জয়রাম রমেশ সোমবার কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘‘মার্শাল ল’ চালু হল নাকি।’’ সেনার প্রাক্তন অফিসাররাও এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সামরিক বাহিনী ছাড়া তাঁদের মতো পোশাক পরা বেআইনি এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সমস্যাজনক বলে অনেকেই মত প্রকাশ করেন।
এই বিতর্কের মুখে পড়েই ওই পোশাকে ফের বদল আনা হবে কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু ঘোষণা করেন, সচিবালয়কে তিনি এ বিষয়ে পুনর্বিবেচনার জন্য বলেছেন।
আরও পড়ুন: নয়া পোশাকে ভোলবদল রাজ্যসভায় মার্শালদের, শুরু বিতর্ক
আরও পড়ুন: হট্টগোল নেই, তবু কেন দুটো পর্যন্ত মুলতুবি রাজ্যসভা, প্রশ্ন ডেরেকের, উত্তপ্ত লোকসভাও
লোকসভায় সব সময় মার্শাল থাকেন না। তুমুল হইহট্টগোল, ধস্তাধস্তি বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে মার্শাল ডাকা হয়। স্পিকারের নির্দেশ মতো তাঁরা কাউকে বাইরে বার করে দেওয়ার কাজ করে থাকেন। রাজ্যসভায় অবশ্য মার্শালদের কাজ অনেকটাই আনুষ্ঠানিক। অধিবেশন শুরুর সময় চেয়ারম্যানের সামনে মার্চ-পাস্ট করেন, তাঁদের পিছনে আসেন চেয়ারম্যান। তার পর অধিবেশন চালকালীন তাঁর কাজে সাহায্য করেন মার্শালরা।