ফাইল চিত্র।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শাসক ও বিরোধী কোনও পক্ষেরই প্রার্থীকে সমর্থন করবে না তৃণমূল। ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্তের কথা ২১ জুলাই, বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন দলের অন্যতম শীর্ষনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতৃত্বকে রাগ-অভিমান না দেখানোর বার্তা দিলেন বিরোধী শিবিরের উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী মার্গারেট আলভা।
তৃণমূলে উদ্দেশে শুক্রবার টুইটারে আলভা লিখেছেন, ‘উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে তৃণমূলের বিরত থাকার সিদ্ধান্ত হতাশাজনক। এটা তর্কবিতর্ক বা রাগ-অভিমানের সময় নয়। এটা সাহস, নেতৃত্ব ও ঐক্যের সময়। আমার বিশ্বাস, সাহসের প্রতিমূর্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী শিবিরের পক্ষে থাকবেন।’
উল্লেখ্য, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থীবাছাই পর্বে মমতার সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বলেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মার্গারেট আলভার সম্পর্ক ভাল। কিন্তু হঠাৎ করে প্রার্থী নির্বাচন হয়েছে। কংগ্রেস থেকে বৈঠক কী ভাবে শরদ পওয়ারের বাড়িতে গেল? আমাদের ভাবনাতেও চার-পাঁচটি নাম ছিল। আমাদের কারও নামে অ্যালার্জি নেই। কিন্তু যে ভাবে প্রার্থী চয়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে তা সঠিক নয়।’’
এর আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী শিবিরকে জোটবদ্ধ করার লক্ষ্যে দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী নেতাদের আহ্বান জানিয়েছিলেন মমতা। তখন মমতার ডাকা বৈঠকে যোগদান নিয়ে বিরোধী শিবিরের একাংশ দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন বলে আভাস পাওয়া গিয়েছিল বিরোধীদেরই একাংশের তরফে। এমনকি, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে শরদ পওয়ারের ‘সম্মতি’ নিয়েই নাকি সে দিনের বৈঠকে তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিলেন মমতা। কিন্তু পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন পওয়ার। ফলে ‘অস্বস্তিতে’ পড়ে তৃণমূল, এমনটাই দাবি বাংলার শাসকদলের একাংশের। এর পর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই নিয়ে পওয়ারের ডাকা বৈঠকে যোগ দেননি মমতা।
যদিও প্রার্থী নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি বলে যে অভিযোগ করেছেন অভিষেক, তা উড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি এবং অন্য বিরোধীদলগুলি। উপরাষ্ট্রপতি পদে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী নিয়ে আলোচনা থেকে তৃণমূলই আচমকা সরে গিয়েছিল বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে তারা। এই প্রেক্ষিতে আলভার মমতার প্রতি বার্তা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এর ফলে তৃণমূলের সিদ্ধান্ত বদলাবে বলে মনে করছেন না দলীয় নেতৃত্ব।