Mamata Banerjee

Mamata-Alva: মমতাকে ফোনে পাচ্ছেন না আলভা

মমতার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। পরে তৃণমূল অভিযোগ তোলে, তাঁদের সঙ্গে আলোচনাই হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২২ ০৭:৫৫
Share:

ফাইল চিত্র।

‘পুরনো বন্ধু’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আর ফোনে যোগাযোগই করতে পারছেন না মার্গারেট আলভা। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী আলভাকে তাই আপাতত তৃণমূলের সমর্থনের আশা ছেড়ে দিয়েই নির্বাচনের অঙ্ক কষতে হচ্ছে।

Advertisement

আগামী শনিবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র প্রার্থী জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী মার্গারেট আলভা আজ দলমত নির্বিশেষে সব সাংসদদের চিঠি লিখে তাঁদের সমর্থন চেয়েছেন। আলভার কথায়, ‘‘উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন আর পাঁচটা ভোট নয়। সংসদ কীভাবে চালানো হবে, একে সে বিষয়ে গণভোট হিসাবে দেখা উচিত।

পরিবর্তনের ক্ষমতা রয়েছে সাংসদদের। আমি তাঁদের সেই ক্ষমতা প্রয়োগের আর্জি জানিয়েছি।’’ আজ সংসদের সেন্ট্রাল হলে গিয়ে বিভিন্ন দলের সাংসদদের সঙ্গেও দেখা করেন আলভা। কংগ্রেস, এনসিপি, শিবসেনা-র মহিলা সাংসদদেরসঙ্গে পুরনো পরিচয়ের সূত্র ধরে গল্পগুজবও করেন।

Advertisement

আলভার ঘনিষ্ঠ শিবিরের বক্তব্য, এই ‘পুরনো বন্ধুত্ব’-র সূত্র ধরেই আলভা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী মনোনীত হওয়ার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। তাঁর সমর্থন চেয়েছিলেন। কিন্তু গত কয়েক দিনে আলভা আর মমতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোনেই ধরতে পারেননি তিনি।

কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিরোধী শিবিরের বৈঠকের সময়ও মমতার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন শরদ পওয়ার। কিন্তু মমতার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। পরে তৃণমূল অভিযোগ তোলে, তাঁদের সঙ্গে আলোচনাই হয়নি। সেই যুক্তিতেই ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। আজ সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। উনি জানিয়েছিলেন, বিরোধীরা যাঁকে প্রার্থী করবেন, তাঁকেই তৃণমূল সমর্থন করবে।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জম্মু-কাশ্মীরের পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী হিসাবে চেয়েছিলেন। বিরোধী শিবিরের এক নেতা বলেন, কাশ্মীরের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে চেয়ে মেহবুবা নিজেই এতে রাজি হননি। তাছাড়া, তাঁর বিরুদ্ধে এত মামলা দায়ের হয়ে রয়েছে যে সব নথি জোগাড় করে মনোনয়ন জমা দেওয়াও কঠিন ছিল।

মার্গারেট আলভা আগেই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে বলেছিলেন, ‘‘বিরোধী শিবিরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শক্তি তৃণমূল। উপরাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনে তৃণমূলের ভোটদানে বিরত থাকা আদৌ বিরোধীদের সাহায্য করবে না। বরং তা কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলকেই সাহায্য করবে।’’ বিবেকের ডাকে সাড়া দিয়ে তৃণমূল সাংসদদের নিজেদের মতো ভোট দেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। শনিবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি আসছেন। বিরোধী শিবিরের খবর, সে সময় ফের তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে বোঝানোর চেষ্টা হতে পারে। কিন্তু তার আগেই মমতা যেভাবে ফোনে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছেন, তাতে সিদ্ধান্ত বদলের আশা দেখছেন না আলভা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement