রেললাইন উড়িয়ে দিয়েছে মাওবাদীরা। ছবি: সংগৃহীত।
ঝাড়খণ্ডে রেললাইন উড়িয়ে দিল মাওবাদীরা। যার জেরে হাওড়া-মুম্বই শাখায় ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
রেল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ গোইলকেরা এবং পোসাইতা স্টেশনের মাঝে রেললাইনের বেশ খানিকটা অংশ বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে মাওবাদীরা। সেই সময় ওই পথ ধরেই ১৮০৩০ শালিমার-কুরলা আপ এক্সপ্রেস যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই বিষয়টি নজরে পড়ে পাশের লাইন দিয়ে যাওয়া মালগাড়ির চালক এবং গার্ডের। সঙ্গে সঙ্গে গোইলকেরা এবং পোসাইতা স্টেশন ম্যানেজারকে সতর্ক করে দেন তাঁরা।
এই খবর পাওয়ার পরই গোইলকেরা স্টেশনে শালিমার-কুরলা আপ এক্সপ্রেসকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। রেলের শীর্ষ আধিকারিকদেরও খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন রেলের শীর্ষকর্তারা এবং রেল সুরক্ষা বাহিনীর সদস্যেরা। রেল সূত্রে খবর, ২২ ডিসেম্বর ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছে মাওবাদীরা। তার আগেই চক্রধরপুর রেল শাখার গোইলকেরা এবং পোসাইতা স্টেশনের মাঝে থার্ড লাইনে বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। রেল পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে মাওবাদীদের একটি ব্যানার উদ্ধার হয়েছে।
রেলের শীর্ষ এক কর্তা গজরাজ সিংহ জানিয়েছেন, খবর পাওয়া মাত্রই ওই পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুক্রবার ভোর সওয়া ৪টে পর্যন্তও রেললাইন ঠিক করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। এই ঘটনার জেরে যোগনগরী হৃষীকেশ পুরী উৎকল এক্সপ্রেসকে মনোহরপুরে স্টেশনে রাতেই দাঁড়িয়ে করিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও পোরবন্দর-শালিমার এক্সপ্রেস এবং জগদলপুর-হাওড়া এক্সপ্রেসকে মনোহরপুরে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়াও শালিমার-এলটিটি এক্সপ্রেসকে গোইলকেরা স্টেশনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। পুণে-হাওড়া এক্সপ্রেসকে রউরকেলায় দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। হাওড়া-সিএসএমটি এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুণে এক্সপ্রেসকে চক্রধরপুরে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। হাওড়া-পুণে এক্সপ্রেসকে টাটা স্টেশনে দাঁড় করানো হয়।