Avalanche In Nathu La

নজরদারির অভাবেই কি দুর্ঘটনা

গ্যাংটক-নাথু লা পথে ১৫ মাইল এলাকায় তুষার ধসে দুর্ঘটনায় মারা যান সাত পর্যটক। জখম অন্তত ২৭। দুর্ঘটনার পরে তল্লাশি অভিযান চলে বিকেল পর্যন্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:১৫
Share:

ভয়াবহ তুষারধসে বরফের তলায় চাপা পড়ে যান প্রায় ২০-৩০ জন পর্যটক। ছবি: পিটিআই।

সিকিমের বিভিন্ন পর্যটনস্থলে যাওয়ার ব্যাপারে রয়েছে সে-রাজ্যের নানা সরকারি বিধিনিষেধ। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সে সব নিষেধাজ্ঞা কতটা মানা হয়, সরকারি নজরদারিই বা কতখানি থাকে, মঙ্গলবার তুষার ধসে সাত পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনার পরে সে ব্যাপারে প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

গ্যাংটক-নাথু লা পথে ১৫ মাইল এলাকায় তুষার ধসে দুর্ঘটনায় মারা যান সাত পর্যটক। জখম অন্তত ২৭। দুর্ঘটনার পরে তল্লাশি অভিযান চলে বিকেল পর্যন্ত। তার পরে বুধবার সকালে ফের নতুন করে তল্লাশি শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত আর কোনও দেহ পাওয়া যায়নি। এ দিন সকালে সিকিমের পর্যটনমন্ত্রী বেদু সিংহ পন্থ দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। এ দিকে, পাহাড়ে টানা তুষারপাত ও এই দুর্ঘটনার জেরে এ দিন থেকে পর্যটকদের ছাঙ্গু এবং নাথু লা যাওয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিকিম প্রশাসন। অথচ, তুষারপাতের পূর্বাভাস কয়েক দিন আগে থেকেই দেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘তুষারপাতের কথা গত ৩১ মার্চ থেকেই পূর্বাভাসে লাগাতার বলা হয়েছে। সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তা পাঠানোও হয়েছে।’’

প্রশ্ন উঠেছে, এই পূ্র্বাভাস থাকা সত্ত্বেও কেন ওই এলাকায় পর্যটকদের যেতে দেওয়া হল? যদিও এ ব্যাপারে গ্যাংটক জেলা পুলিশ সুপার তেনজিং লোডেন লেপচা বলেন, ‘‘পর্যটকেরা সকলে অনুমোদিত এলাকার মধ্যেই ছিলেন। এলাকাটি ১৫ মাইলের মধ্যে।’’ ঘটনা নিয়ে আদৌ কোনও তদন্ত হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে কিছুই বলতে চাননি তিনি। বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি স্থানীয় জেলাশাসক তুষার নিখারেও। অন্য দিকে, পর্যটকদেরই একাংশের অভিযোগ, গ্যাংটক থেকে জওহরলাল নেহরু মার্গ ধরে যেটুকু যাওয়ার অনুমতি ছিল, তার বেশিই চলে যান পর্যটকেরা। গ্যাংটক-নাথু লা রোডের ধারে আরও কিছুটা সামনে গিয়ে অসাবধানে তুষার উপত্যকায় উঠে যান তাঁরা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটে বিপর্যয়।

Advertisement

এ দিকে, তুষার ধসে মৃত শিলিগুড়ির যুবক সৌরভ রায়চৌধুরীর দেহ এ দিন বিকেলে বাড়িতে আনা হয়। দেহ বাড়িতে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সৌরভের মা-বাবা। পরে রাতের দিকে তাঁর শেষকৃত্য হয়েছে। সকালে মৃতের পরিবারের দেখা করে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মেয়র গৌতম দেব। অন্য দিকে, ওই দুর্ঘটনায় মৃত এ রাজ্যের আর এক বাসিন্দা প্রীতম মাইতি কোথাকার বাসিন্দা, এই নিয়ে এখনও একটি পর্যায়ে ধন্দ রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement