অশান্ত মণিপুর। —ফাইল চিত্র।
মণিপুর সরকার সিদ্ধান্ত নিল, রাজ্যে পঞ্চায়েত, পুরসভা ও স্বশাসিত জেলা পরিষদের নির্বাচন করা হবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে। স্বশাসিত জেলা পরিষদের ভোটের তারিখ হিল এরিয়া কমিটির সঙ্গে আলোচনার পরে ঠিক করা হবে। অবশ্য এখনও রাজ্যে ষাট হাজারের বেশি মানুষ ঘরছাড়া। দশ হাজারের বেশি মানুষ ভিন্ রাজ্যে আশ্রয় নিয়ে আছেন। তাঁরা লোকসভা ভোটে ভোট দিতেও পারেননি। কবে সকলে গ্রামে ফিরতে পারবেন তার ঠিক নেই। এই পরিস্থিতিতে তিন মাসের মধ্যে পঞ্চায়েত ও পুরভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। লোকসভা ভোটের সময়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপক হিংসা, বুথ দখলের খবর এসেছিল। তার পরেও বিজেপি ও তাদের শরিক এনপিএফকে চমকে দিয়ে দু’টি আসনই ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস। তাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে গোলমাল আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
এ দিনও অশান্তি ও অগ্নিকাণ্ড হয়েছে মণিপুরে। পুলিশ জানায়, বাবুপাড়ায় কুকি ইনের আশপাশে মণিপুর সচিবালয় কমপ্লেক্সের কাছে থাকা কুকিদের পরিত্যক্ত বাড়িগুলিতে আজ আগুন লাগে। তার মধ্যে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যসচিব থাংখোপাও কিপগেনের বাড়িও রয়েছে। অন্য দিকে কুকি এলাকাগামী পণ্যবাহী বেশ কিছু ট্রাক আটকায় মেইতেইরা। ট্রাক লুঠ করে আগুন লাগানো হয়। সীমান্ত শহর মোরেতে উদ্বোধনের আগেই একটি স্কুল পুড়িয়ে দিল জঙ্গিরা।
এর মধ্যেই মণিপুরের সদ্য নির্বাচিত কংগ্রেস সাংসদ অ্যালফ্রেড কে আর্থার ও আউটার কেন্দ্রে ভোটে লড়া আরও দুই নির্দল প্রার্থী এস খো জন ও অ্যালিসন আবোনমাইকে আগামী সাত বছরের জন্য ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করল মণিপুরে নাগাদের বৃহত্তম যৌথ মঞ্চ ইউনাইটেড কাউন্সিল অব মণিপুর বা ইউএনসি। ভোটে এনপিএফ প্রার্থী কে টিমোথি জ়িমিক দ্বিতীয়, জন ও অ্যালিসন তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান পেয়েছিলেন। রাজ্য সরকার, বিজেপি ও এনএসসিএন আইএমের পূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতার পরেও জিমিকের পরাজয় ছিল অপ্রত্যাশিত। মনে করা হচ্ছে, তার ফলেই ইউএনসি জিমিক বাদে বাকি তিন প্রার্থীর উপরে এ ভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল। মনে করা হচ্ছে, তার ফলেই ইউএনসি জিমিক বাদে বাকি তিন প্রার্থীর উপরে এ ভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লোকসভা ভোটের সময় আর্থার ও বাকি দু’জন ইচ্ছাকৃত ভাবে ইউএনসির মর্যাদা ও অবস্থানের অসম্মান করেছে। যা সামগ্রিকভাবে মণিপুরে নাগাদের স্থান ও ঐক্যের পরিপন্থী। তাই ওই তিনজনকে কোনও নাগা সংগঠন, মঞ্চের কোনও পদ দেওয়া চলবে না। সব নাগাকে ওই নির্দেশ মানতে বলা হয়েছে।