— প্রতীকী ছবি।
ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে বেআইনি কয়লা খাদানে ধস। ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও ধসের তলায় বহু মানুষের চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে এমনই জানানো হয়েছে।
ধানবাদের এসএসপি সঞ্জীব কুমার বলেন, ‘‘ভারত কোকিং কোল লিমিটেড (বিসিসিএল)-এর খোলামুখ খনিতে ধস নেমেছে। আমরা ১টি মৃতদেহ উদ্ধার করতে পেরেছি। ১ জনের মৃত্যু হয়েছে তা আমরা নিশ্চিত। আরও মৃত্যুর দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা বিসিসিএলের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
স্থানীয় সূত্রের খবর, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ভোওরা কোলিয়ারি এলাকায় ধস নামে। জায়গাটি ধানবাদ শহর থেকে মাত্র ২১ কিলোমিটার দূরে। এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, বহু গ্রামবাসী বেআইনি খাদানে কয়লা উত্তোলনের কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘‘ধসের পর স্থানীয় মানুষ ভিতর থেকে ৩টি দেহ বার করতে পেরেছে। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানিয়েছেন। আমার আশঙ্কা ভিতরে আরও দেহ আছে।’’
বেআইনি খাদান থেকে কয়লা উত্তোলন এই এলাকার দীর্ঘদিনের সমস্যা। অপরিকল্পিত খননের জেরে এলাকা যেমন অতিধসপ্রবণ হয়ে উঠছে, পাশাপাশি খোলামুখ খনি থেকে বেআইনি ভাবে কয়লা পাচারের কারণে এলাকায় অসামাজিক গতিবিধিও মাথাচাড়া দেয়। শুধু ঝাড়খণ্ডই নয়, রাঢ় বাংলার খনি এলাকাতেও ভূমিধসের ঘটনা আকছার চোখে পড়ে। তা নিয়ে অতীতে সরব হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য অভিযোগ, প্রশাসন তৎপর হলে এ সব কাজ মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু প্রশাসনেরই উদ্যোগের অভাব।