—প্রতীকী ছবি।
ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাস্তার উপরে এক যুবককে কোপাচ্ছেন আর এক যুবক, দেখেও পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছিলেন পথচারীরা। কেউ কেউ আবার ভিডিয়োও করলেন, দাঁড়িয়েও দেখলেন। কিন্তু সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাননি। আবারও সেই দিল্লি। এ বার ঘটনাস্থল উত্তর-পূর্ব দিল্লির নন্দ নগরী।
সপ্তাহখানেক আগেই এই রাজধানী এক কিশোরী খুনের সাক্ষী থেকেছিল। কিশোরীকে ছুরি মেরে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল রোহিণীর শাহবাদ ডেয়ারি এলাকায়। সে সময়ও পথচারীরা কিশোরীকে খুন হতে দেখেছিলেন। কেউ এগিয়ে যাননি। আবার সেই একই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল রাজধানী। যদিও এই ঘটনায় যুবক বেঁচে গিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে কাশিম নামে এক যুবককে রাস্তার ধারালো অস্ত্র নিয়ে কোপানোর অভিযোগ ওঠে শোয়েব নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার একটি ভিডিয়োও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কাশিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাঁ হাতে কোপ মারার পর সেখান থেকে চলে যান অভিযুক্ত শোয়েব। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেও কোনও পথচারীই উদ্ধারে এগিয়ে যাননি বলেও অভিযোগ। কাশিমের উপর হামলা চালানোর পর ঘটনাস্থল থেকে বিনা বাধাতেই হেঁটে চলে যান শোয়েব।
এই ঘটনার কিছু ক্ষণ পরেই কাশিমের মা ঘটনাস্থলে এসে ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেননি বলে দাবি শোয়েবের মায়ের। পরে শোয়েবকে উদ্ধার করে এমসে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ভয়ের কোনও কারণ নেই। শোয়েবের অবস্থা স্থিতিশীল।
পুলিশ জানিয়েছে, শোয়েব এবং কাশিম একই পাড়ায় থাকেন। বছর দুয়েক আগে দু’জনের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। সেই সময় কাশিম শোয়েবের নাক, মুখ এবং চোখে ভয়ানক ভাবে আঘাত করেছিলেন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার পর থেকে ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন শোয়েব। বৃহস্পতিবার রাতে কাশিমকে একা পেয়ে হামলা চালান। শোয়েবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।