খাল থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে বাস এবং যাত্রীদের। ছবি সৌজন্য টুইটার।
সেতু থেকে যাত্রীবোঝাই বাস খালে পড়ে মৃত্যু হল কমপক্ষে ৩৭ জনের। মৃতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৬ মহিলা এবং এক শিশু রয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার পটনা গ্রামে।
এই ঘটনার খবর পেয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি টুইট করে জানান, ‘ভয়ানক ঘটনা। শোকগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সমবেদনা জানাচ্ছি।’ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবারগুলিকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মোদী।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। মনে করা হচ্ছে বাসে ৬০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন। বাসটি সিধি থেকে রেওয়া যাচ্ছিল। পটনা গ্রামের কাছে শারদা খালের সেতুর উপর আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। সেতুর রেলিং ভেঙে সোজা খালে গিয়ে পড়ে বাসটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, আচমকাই খালে বড় কিছু পড়ার আওয়াজ ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। তত ক্ষণে বাসটি যাত্রীসমেত ডুবতে শুরু করেছিল। তাঁদের দাবি, ৭ জন কোনও রকমে সাঁতরে পাড়ে চলে আসেন। কিন্তু বাসের ভিতরে বহু যাত্রী আটকে ছিল তখনও। স্থানীয়রা উদ্ধারের চেষ্টা করেও বিশেষ লাভ হয়নি। কারণ খালের জলে স্রোতের টান ছিল। যাত্রীসমতেই বাসটি ডুবে যায়।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। ছুটে আসে উদ্ধারকারী দলও। বাসটিকে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেওয়া জোনের ইনস্পেক্টর জেনারেল উমেশ যোগা জানিয়েছেন।
এ দিন মধ্যপ্রদেশ সরকারের ‘গৃহ প্রবেশ’ প্রকল্পের উদ্বোধন কর্মসূচি ছিল। ভার্চুয়ালি সেই কর্মসূচির উদ্বোধন করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। এই দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই সেই অনুষ্ঠান আপাতত স্থগিত করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান বলেন, “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক একটি ঘটনা। উদ্ধারকাজ চলছে। মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। আহত এবং নিহতদের পরিবারের পাশে রয়েছে গোটা রাজ্যের মানুষ।”