মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। —ফাইল চিত্র।
কয়েক বছর আগে কংগ্রেস ও জেডিএসের ১৭ জন বিধায়ককে ভাঙিয়ে নিয়ে কর্নাটকের জোট সরকারকে ভেঙে দিয়েছিল বিজেপি। ভোটে না জিতলেও দল ভাঙিয়ে সেখানে সরকার গড়েছিল গেরুয়া শিবির। এ বারের বিধানসভা ভোটে কর্নাটকে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরে, ২০১৯ সালের সেই ‘অপারেশন পদ্ম’র পাল্টা অভিযান শুরু করার জল্পনা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস শিবিরের খবর, বিজেপির সঙ্গ ছাড়তে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন বেশ কয়েক জন বিধায়ক। কর্নাটকের মন্ত্রী সতীশ জারকিহোলি দাবি করেছেন, কংগ্রেসে আসতে আগ্রহী বিধায়কের সংখ্যা অন্তত কুড়ি। সব মিলিয়ে কর্নাটকের রাজনীতিতে ‘অপারেশন পদ্ম’র পাল্টা ‘অপারেশন হস্ত’ নিয়ে জল্পনা চলছে জোরকদমে।
বিজেপির বিধায়ক এবং প্রাক্তন মন্ত্রী এস টি সোমশেখর গতকাল মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে দেখা করার পর রাজ্য রাজনীতিতে ‘অপারেশন হস্ত’ নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। সোমশেখর বেঙ্গালুরুর যশোবন্তপুর কেন্দ্রের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে দেখা করার পর তিনি দাবি করেছেন, তাঁর কেন্দ্রের উন্নয়নের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। কথা হয়েছে নতুন কিছু প্রকল্প নিয়ে। তবে বেশ কিছুদিন থেকেই সোমশেখর কংগ্রেসের বৃত্তে ঘোরাফেরা শুরু করেছেন, উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারকে ‘রাজনৈতিক গুরু’ আখ্যা দিয়ে বসেছেন তিনি। ফলে বিজেপির বিধায়ককে ঘিরে অস্বস্তি বেড়েছে গেরুয়া শিবিরে। জেডিএস নেতা আয়ানুর মঞ্জুনাথও শিবকুমারের সঙ্গে দেখা করেছেন।