মর্মান্তিক সেই দৃশ্য। ছবি সৌজন্য টুইটার।
জাতীয় সড়কের জন্য রাস্তা চওড়া করা হবে। তার জন্য রাস্তার ধারে থাকা একের পর এক গাছ উপড়ানোর কাজ চলছিল জেসিবি দিয়ে। রাস্তার ধারে থাকা একটি গাছে বাসা বানিয়েছিল প্রচুর পাখি। রেহাই পেল না তারাও। গাছ উপড়ে ফেলতেই সেই পাখিরা গৃহহীন হয় পড়ল।
তবে এই ঘটনায় সবচেয়ে মর্মান্তিক যে দৃশ্যটি, তা হল, গাছ উপড়ে ফেলতেই পূর্ণবয়স্ক পাখিরা উড়ে পালাতে পারলেও বাসায় থাকা ছোট ছোট ছানাদের সেই সৌভাগ্য হয়নি। বাসার সঙ্গে রাস্তায় আছড়ে পড়ে মৃত্যু হল বহু পাখির ছানার। কয়েকটিকে ছটপট করতে করতে নিস্তেজ হয়ে পড়তেও দেখা গেল। ঘটনাটি কেরলের মালাপ্পুরমের।
কেরল বন দফতর বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছে। অভিযোগ, প্রশাসনের কোনও অনুমতি ছাড়াই রাস্তার ধারের গাছ কাটা চলছে। যে ব্যক্তি জেসিবি দিয়ে গাছ উপড়ানোর কাজ করছিলেন, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাজ্য বনমন্ত্রী এ কে শশীধরন এই ঘটনাকে মর্মান্তিক বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, বন দফতরের কোনও অনুমতি না নিয়েই গাছ কাটা হয়েছে। বন দফতরের স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে যে, যে সব গাছে পাখির বাসা থাকবে, সেই গাছ কাটা যাবে না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেই নির্দেশিকা মানা হয়নি বলে অভিযোগ মন্ত্রীর। কী ভাবে কোনও নির্দেশিকা ছাড়া গাছ কাটা হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পূর্তমন্ত্রী মহম্মদ রিয়াজ ভারতের জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে এই কাজের জবাব চেয়ে পাঠিয়েছেন। নীলাম্বুর নর্থ ডিভিশনাল অফিসার জানিয়েছেন, যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।