বিপর্যস্ত হিমাচলে চলছে উদ্ধারকাজ। —ফাইল চিত্র।
মেঘভাঙা বৃষ্টি, বন্যা, ধস, হড়পা বানের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিপর্যস্ত উত্তর ভারতের বহু এলাকা। হিমাচল প্রদেশের তিন জেলা মিলিয়ে আজ মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১। এখনও নিখোঁজ অন্তত ৪০। উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৭। কেদারনাথ মন্দিরে যাওয়ার পথে এখনও পুণ্যার্থীরা।
আজ স্নিফার কুকুর, ড্রোন-সহ নানা সরঞ্জাম নিয়ে হিমাচলে উদ্ধারকাজ চালিয়েছেন ৪১০ জন উদ্ধারকারী। খোঁজ চালানোর সময়ে মণ্ডী জেলার রাজভান গ্রাম থেকে উদ্ধার হয় বছর তেইশের সোনম ও তিন মাসের মানবী নামে দু’জনের দেহ। এ ছাড়া, কুলু, মণ্ডী ও শিমলায় এখনও অনেকের খোঁজ মেলেনি। ফলে আরও অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারীরা।
বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডেও পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। দুর্যোগের কারণে ৩১ জুলাই ভীমবলীর কাছে আটকে পড়েছিলেন গৌরীকুণ্ড, কেদারনাথের মন্দিরের দিকে যাওয়া হাজার হাজার পুণ্যার্থী। এ দিন কেদারনাথ থেকে ৩৭৩ জনকে উদ্ধার করে আকাশপথে লিঞ্চোলিতে আনা হয়। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত ন’হাজারেরও বেশি পুণ্যার্থীকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হলেও অন্তত হাজার জন এখনও সেখানে আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ধস-বিধ্বস্ত সোনপ্রয়াগে একটি অস্থায়ী সেতু বানিয়ে পুণ্যার্থীদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে ভারতীয় সেনা। এরই মধ্যে, শনিবার রুদ্রপ্রয়াগে এক জনের দেহ উদ্ধার হয়।