Uddhav Thackeray

‘আমাকে হেনস্থা করা হচ্ছে’, উদ্ধবকে বলেছিলেন হিরেন

এরই মধ্যে এই ঘটনায় বিতর্কে জড়িয়েছেন মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ইনটেলিজেন্স ইউনিটের অফিসার সচিন ভাজ়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২১ ০৭:৫৪
Share:

ফাইল চিত্র।

পুলিশ ও সংবাদমাধ্যমের একাংশ তাঁকে হেনস্থা করছে বলে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে লেখা এক চিঠিতে জানিয়েছিলেন মনসুখ হিরেন। সম্প্রতি মুকেশ অম্বানীর বাড়ি ‘অ্যান্টিলিয়া’র কাছে একটি এসইউভি থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার করে পুলিশ। ওই গাড়িটি ব্যবহার করতেন হিরেন। কিন্তু সেটি চুরি হয়ে গিয়েছে বলে পুলিশের কাছে দায়ের করা এক অভিযোগে জানিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে ঠাণের একটি খাঁড়ি থেকে উদ্ধার হয় হিরেনের দেহ।

Advertisement

এরই মধ্যে এই ঘটনায় বিতর্কে জড়িয়েছেন মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ইনটেলিজেন্স ইউনিটের অফিসার সচিন ভাজ়। সম্প্রতি মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফডণবীস এই ঘটনায় সচিন ভাজ়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি দাবি করেন, গাড়ি চুরি হওয়ার পরে হিরেন মুম্বইয়ের ক্রফোর্ড মার্কেটে সচিনের সঙ্গে দেখা করেন। সে দিন অম্বানীর বাড়ির কাছে বিস্ফোরক ভর্তি স্করপিয়োর কাছে সচিনই সবচেয়ে আগে পৌঁছেছিলেন বলে দাবি করেন ফডণবীস।

অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সচিন পাল্টা দাবি করেন, তিনি হিরেনকে চিনতেন। কিন্তু গাড়ি চুরির পরে ক্রফোর্ড মার্কেটে দেখা হওয়ার কাহিনি সত্য নয়। বরং হিরেনকে মুম্বই পুলিশের অন্য কয়েক জন অফিসার ও কয়েক জন সাংবাদিক হেনস্থা করছেন।

Advertisement

আজ সামনে এসেছে মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মুম্বই ও ঠাণের পুলিশ কমিশনারকে লেখা হিরেনের একটি চিঠি। তাতে হিরেন জানিয়েছেন, আইরোলি-মুলুন্দ সেতু থেকে স্করপিয়োটি চুরি হওয়ার কথা তিনি ১৮ ফেব্রুয়ারি ভিখরোলি থানায় দায়ের হওয়া এফআইআরে জানিয়েছিলেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি অম্বানীর বাড়ির কাছে ওই গাড়ি থেকেই বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। তার পর থেকে পুলিশের বিভিন্ন শাখা, এমনকি এনআইএ-ও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এক বার তাঁকে থানায় আটকও করা হয়। এর ফলে তাঁর মানসিক শান্তি নষ্ট হচ্ছে বলে চিঠিতে জানিয়েছেন হিরেন। তিনি জানান, দুষ্কৃতীদের সম্পর্কে কোনও তথ্য তিনি জানেন না। কিন্তু পুলিশ ও সংবাদমাধ্যমের একাংশ এমন আচরণ করছে যা থেকে মনে হচ্ছে তিনি এই ঘটনায় অভিযুক্ত। এই বিষয়ে পদক্ষেপ করতে মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও দুই পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ করেছিলেন হিরেন। চিঠিটির প্রাপ্তিস্বীকার করে মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনারের অফিসের সিলমোহরও রয়েছে।

এখন এই ঘটনার তদন্ত করছে মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাস-দমন শাখা। তারা জানিয়েছে, হিরেনের ভিসেরা পরীক্ষার রিপোর্ট না-আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement