বুধবার জরুরি বৈঠকে আপ নেতৃত্ব
আবগারি দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে নিয়ে টানাপড়েনের আবহে মণীশ সিসৌদিয়া আগেই দাবি করেছেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন, শুধু তিনিই নয়, বেশ কয়েক জন আপ বিধায়ককে নিশানা করেছে বিজেপি। তাঁদের ক্রমাগত ইডি-সিবিআইয়ের ভয় দেখানো হচ্ছে। দল ছেড়ে বেরিয়ে এলে তাঁদের ২০ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করলেন মণীশ। যদিও তাঁর বিশ্বাস, বিজেপির এই দল ভাঙানোর প্রচেষ্টা বৃথা। আপ নেতারা কোনও দিনই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না। দলের নেতাদের হুমকি এবং ঘুষ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কেজরীবাল ও আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ। এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার দলীয় বৈঠকেরও ডাক দেওয়া হয়েছে।
আপ নেতৃত্ব আগেই দাবি করেছেন, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ও কর্নাটকের মতো দিল্লিতেও ‘অপারেশন লোটাস’ চালিয়ে বিজেপি সরকার ফেলার চেষ্টা করছে। সাংবাদিক বৈঠকে সঞ্জয় দাবি করেন, চার আপ বিধায়ক— অজয় দত্ত, সঞ্জীব ঝা, সোমনাথ ভারতী এবং কুলদীপকে তাদের দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বিজেপিতে যোগ না দিলে তাঁদের ইডি-সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়তে হতে পারে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। এর পরেই মণীশ টুইটে দাবি করেন, ‘ওঁরা আমায় ভাঙতে পারেনি। এখন অন্য আপ বিধায়কদের ২০ কোটি টাকা করে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করছে। ইডি-সিবিআইয়েরও ভয় দেখাচ্ছে। এই ধরনের কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকুক বিজেপি। আমরা অরবিন্দ কেজরীবালের সৈনিক। ভগত সিংহের অনুগামী। মরে যাব কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা করব না। ইডি-সিবিআই আমাদের কাছে গুরুত্বহীন।’
কিন্তু বিজেপির এই দল ভাঙানোর চেষ্টা যে যথেষ্টই চিন্তার, তা মেনে নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরী। বুধবার দলের রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি (পিএসি)-র বৈঠকের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কয়েক জন আপ বিধায়ককে দল ছাড়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি যথেষ্ট চিন্তার। আজ (বুধবার) ৪টে নাগাদ বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।’’ যদিও বিজেপির তরফে দাবি, আবগারি দুর্নীতিতে বেকায়দায় পড়ে এখন বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালাতে চাইছে কেজরীবালের দল।