Manipur Violence

নতুন করে উত্তপ্ত মণিপুর, সশস্ত্র জনতার সঙ্গে গুলির লড়াই নিরাপত্তা বাহিনীর

শুক্রবার সকালে টেংনউপল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে এক দল উন্মত্ত জনতা। পাল্টা গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনীও। সকাল ৬টা থেকে এই গুলির লড়াই চলে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ইম্ফল শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৮
Share:

মণিপুরের হিংসা উপদ্রুত অঞ্চলে টহল নিরাপত্তা বাহিনীর। ছবি: টুইটার।

নতুন করে অশান্ত হল মণিপুর। শুক্রবার সকালে সে রাজ্যের টেংনউপল জেলার পাল্লেল গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে এক দল উন্মত্ত জনতা। পাল্টা গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনীও। সকাল ৬টা থেকে কিছু সময় অন্তর অন্তর এই গুলির লড়াই চলে। দুপুরের দিকে ওই এলাকায় আরও সেনা মোতায়েন করা হয়।

Advertisement

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে প্রায় হাজার জন মানুষ অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। গুলির লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত কারও হতাহত হওয়ার খবর মেলেনি। তবে পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে নিরাপত্তা বাহিনী। গত বুধবারই সে রাজ্যের বিষ্ণুপুর জেলায় কার্ফু অমান্য করে, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করে মেইতেইদের নাগরিক অধিকার সংগঠন কোকোমির সদস্যেরা। মিছিল আটকাতে এবং জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে রবার বুলেট ছোড়েন নিরাপত্তা আধিকারিকেরা। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

কোকোমির তরফে বলা হয়, তারা মিছিল করে কুকি অধ্যুষিত চূড়াচাঁদপুর জেলার উদ্দেশে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও মণিপুর সরকারের তরফে আগেই এই সংগঠনকে বলা হয়েছিল, তারা এমন কোনও পদক্ষেপ করলে মণিপুরের সঙ্কট আরও ঘনীভূত হতে পারে। মঙ্গলবার উপত্যকার যে জেলাগুলিতে পূর্ণমাত্রায় কার্ফু জারি করা হয়েছিল, সেগুলি হল বিষ্ণুপুর, কাকচিং, থৌবল, ইম্ফল পূর্ব এবং ইম্ফল পশ্চিম। বিষ্ণুপুর জেলা থেকে মিছিল করে কুকি অধ্যুষিত চূড়াচাঁদপুরে ঢুকতে পারেন মেইতেইরা, এই আশঙ্কায় সেই জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করা হয়েছিল। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড দেওয়ার ফলে তাঁরা কার্যত ঘরবন্দি হয়ে গিয়েছেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’শো জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement