বৈঠকের জন্য সেজে উঠেছে দিল্লির ভারত মণ্ডপম। ছবি: পিটিআই।
জি২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজে ডাক পেলেন না রাজ্যসভার দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। তবে আমন্ত্রণ পেয়েছেন দেশের প্রাক্তন দুই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং এইচডি দেবগৌড়া। খড়্গের ডাক না পাওয়া নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতরও শুরু হয়েছে। কংগ্রেস শিবিরের একাংশের বক্তব্য, পদ, গুরুত্ব এবং ওজনের নিরিখে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার মর্যাদা এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদের সমতুল। তা সত্ত্বেও কেন খড়্গেকে আমন্ত্রণ জানানো হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেসের ওই অংশটি।
তবে রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রে খবর, বিশেষ নৈশভোজে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। এখনও পর্যন্ত ছয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নৈশভোজে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছেন। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন শনিবারের নৈশভোজে উপস্থিত থাকছেন। নৈশভোজে আমন্ত্রণ পেয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকগুলির শীর্ষ আধিকারিকেরাও।
শনিবার নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দান এলাকার ভারত মণ্ডপমে হতে চলেছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দেওয়া বিশেষ নৈশভোজ। এখনও পর্যন্ত স্থির হয়েছে, নৈশভোজের আগে একটি ছোট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন আমন্ত্রিত বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানেরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অতিথি-অভ্যাগতদের স্বাগত জানাবেন। নৈশভোজে যোগ দিতে এক দিন আগে, শুক্রবারই দিল্লি পৌঁছচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি নামবেন দিল্লি বিমানবন্দরে। নৈশভোজ শনিবার। সূত্রের খবর, এক দিন আগেই মমতা দিল্লি আসছেন, কারণ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য শনিবার থেকে উড়ান চলাচলে কিছু বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। নিরাপত্তাগত কারণে বন্ধ রাখা হচ্ছে দিল্লির কিছু রাস্তাও।