এম রামেশ্বর সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।
মণিপুরে অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে এ বার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করার দাবি তুললেন সে রাজ্যেরই ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)-র নেতা এম রামেশ্বর সিংহ। উল্লেখ্য যে, মণিপুরে এনপিপি বিজেপির জোটসঙ্গী। স্বাভাবিক ভাবেই রামেশ্বরের এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
রামেশ্বর অবশ্য নিজের মন্তব্যে অনড়। তাঁর কথায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর মন্তব্যে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, সীমান্ত পেরিয়ে কুকি জঙ্গিরা মণিপুরে ঢুকছে।” এই প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আমি বারবারই বলে আসছি যে, এই সমস্যার পিছনে বিদেশি হাত আছে। এর ফলে জাতীয় সুরক্ষার সঙ্গে আপস করা হচ্ছে।” তারপরই তিনি বলেন, “সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো কোনও পদক্ষেপ করলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।”
প্রসঙ্গত, গত মাসে মায়ানমার থেকে মণিপুরে ঢোকা অনুপ্রবেশকারীদের বায়োমেট্রিক তথ্য নেওয়া শুরু করে মণিপুর সরকার। সরকারি একটি সূত্র মারফত জানা যায়, শুধু জুলাই মাসেই প্রায় ৭০০ জন মায়ানমার সীমান্ত হয়ে মণিপুরে অনুপ্রবেশ করেছেন। মণিপুরের স্বরাষ্ট্র দফতর জানায়, অনুপ্রবেশকারীরা, চান্ডেল জেলায় বসতি স্থাপন করেছেন। মেইতেইদের অভিযোগ, মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে রাজ্যে ঢুকে অস্থিরতা তৈরি করছে কুকি জঙ্গিরা। কুকিদের অবশ্য পাল্টা বক্তব্য, তারা ভারতীয়। অহেতুক তাদের অনুপ্রবেশকারী হিসাবে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে।
উরি, পঠানকোট এবং গুরুদাসপুরে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের উপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারত। পাকিস্তানের ভূখণ্ডে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুড়িয়ে দেয় ভারতের বোমারু বিমান। পাকিস্তান অবশ্য প্রকাশ্যে এই হামলার কথা কখনও স্বীকার করেনি। এ বার সেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা উঠে এল মণিপুরের নেতার কথাতেও।