আতিক আহমেদ। —ফাইল চিত্র।
‘গ্যাংস্টার’ আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরফ আহমেদের হত্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। এই প্রসঙ্গে দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, “তাঁকে (আতিক) ৫-১০ জন মানুষ পাহারা দিচ্ছিলেন। কীভাবে কিছু মানুষ এসে গুলি করে চলে গেল? এমনটা হয় কী করে? এই ঘটনার জন্য কেউ না কেউ দায়ী।”
আতিকের হত্যা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁর বোন আয়েশা নুরি। এই নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিস দিয়েছে আদালত। এর পাশাপাশি ২০১৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত সে রাজ্যে হওয়া ‘এনকাউন্টার’-এ নিহত হওয়া ব্যক্তিদের নামের তালিকা, তদন্তের গতিপ্রকৃতি উত্তরপ্রদেশ সরকারকে হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্ট এবং বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের বেঞ্চ ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
গত ১৫ এপ্রিল মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সামনেই আতিক এবং তাঁর ভাই আশরফকে গুলি করে হত্যা করেন আততায়ীরা। চিৎকার করে স্লোগানও দেন। ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই দৃশ্য। ঘটনার সময় হাসপাতালের সামনেই ছিলেন আতিকের আইনজীবী বিজয়। সাংবাদিকরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বিজয় বলেন, ‘‘পুলিশ ওঁদের গাড়ি থেকে নামিয়ে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। যেই ওঁরা হাসপাতাল চত্বরে ঢোকেন, গুলির শব্দ শোনা যায়। বিধায়ক এবং তাঁর ভাইয়ের গায়ে গুলি লাগে। ওখানেই ওঁদের মৃত্যু হয়।’’
বিচারাধীন বন্দিকে পুলিশের সামনেই ‘এনকাউন্টার’ করা নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে সারা দেশে। আতিক-হত্যা উত্তরপ্রদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেয়। তাঁর মতো ‘হাই প্রোফাইল’ বন্দিকে পুলিশের চোখের সামনেই কী ভাবে স্লোগান দিতে দিতে খুন করা হল, সেই প্রশ্নও ওঠে।