কর্নাটক পুলিশের এক শীর্ষকর্তা অলোক কুমারের দাবি, আইএস-প্রভাবিত ‘আল হিন্দ’-সহ দেশের একাধিক জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করতেন মেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে অভিযুক্ত শরিক। ছবি: সংগৃহীত।
জঙ্গি সংগঠন আইএসের আর্দশে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের আস্তানায় বোমা বাঁধতেন মেঙ্গালুরুর অটোয় বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত। এমনকি, এ দেশের একটি জঙ্গি সংগঠনের মাথাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করতেন। সোমবারই এ দাবি করল কর্নাটক পুলিশ। মেঙ্গালুরুর বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার বিষয়টিকে বড়সড় সাফল্য হিসাবে দেখছেন তদন্তকারীরা।
কর্নাটক পুলিশের এক শীর্ষকর্তা অলোক কুমারের দাবি, আইএস-প্রভাবিত ‘আল হিন্দ’-সহ দেশের একাধিক জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করতেন মেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে অভিযুক্ত শরিক। সংবাদমাধ্যমে অলোক কুমারের দাবি, ‘‘দু’টি মামলায় অভিযুক্ত আফাফত আলির নির্দেশেই কাজ করতেন শরিক। আরাফতের সঙ্গে আল হিন্দ মডিউলের মুসবির হুসেনের যোগাযোগ ছিল। তবে আব্দুল মতিন ত্বহা হলেন শরিকের প্রধান হ্যান্ডলার। এ ছাড়া, আরও দু’তিন জনের সঙ্গেও কাজ করছেন শরিক। যাঁদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।’’
অলোক কুমার জানিয়েছেন, বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে নেমে মাইসুরুতে শরিকের আস্তানা-সহ কর্নাটকের ৫টি জায়গায় হানা দিয়েছে পুলিশ। শরিকের বাড়ি থেকে বিস্ফোরণের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিও উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশকর্তার। তিনি বলেন, ‘‘আইএস আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের বাড়িতেই বোমা তৈরি করতেন শরিক। সেই বোমা পরীক্ষা করার জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর দু’জনের সঙ্গে শিবমোগ্গার জঙ্গলে বিস্ফোরণও ঘটিয়েছিলেন।’’
তদন্তকারীদের দাবি, ২০ সেপ্টেম্বর শরিকের ২ সঙ্গীকে পাকড়াও করা হলেও পালিয়ে যান শরিক। এর পর চোরাই আধার কার্ড দেখিয়ে মাইসুরুতে বাড়ি ভাড়া করেন তিনি। সেখানেও তিনি বোমা বাঁধতেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুরে মেঙ্গালুরুর একটি অটোয় প্রেসার কুকার বোমায় বিস্ফোরণ হয়। তাতে অভিযুক্ত শরিক যাত্রী হিসাবে উঠেছিলেন। ওই কাণ্ডে শরিক-সহ জখম হয়েছেন অটোচালক। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় ৫টি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অলোক কুমার। সোমবার সকালে শিবমোগ্গা জেলার ৪টি জায়গা-সহ মেঙ্গালুরুর ১টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিন যন্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার শরিককে গ্রেফতারির পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী এক ব্যক্তিকে মেঙ্গালুরুর থেকে আটক করা হয়েছে।