ফাইল ছবি।
দিল্লির ত্যাগরাজ স্টেডিয়াম খালি করে দিয়ে পোষ্য সারমেয়কে হাঁটানোর কারণে রাতারাতি দিল্লি থেকে বদলি হয়ে লাদাখ ও অরুণাচলে যেতে হয়েছে আমলা দম্পতিকে। এ বার সরাসরি সেই আইএএস দম্পতির পাশে দাঁড়ালেন বিজেপি সাংসদ মানেকা গাঁধী। দাবি করলেন, এই নির্দেশের ফলে আখেরে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দিল্লিই।সম্প্রতি একটি ছবি তোলপাড় ফেলে দেয় দেশে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি স্টেডিয়ামের রানিং ট্র্যাকের উপর দিয়ে এক দম্পতি হাঁটছেন। সামনে চলেছে তাঁদের পোষ্য সারমেয়। জানা যায়, ওই দম্পতি দিল্লির আমলা, সঞ্জীব খিরওয়ার ও রিঙ্কু দুগ্গা। তাঁদের পোষ্যকে হাঁটানোর জন্য স্টেডিয়াম খালি করে দেওয়া হত। অনুশীলন ছেড়ে বাড়ি ফিরতে হত খেলোয়া়ড়, প্রশিক্ষকদের। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই শুরু হয়ে যায়। রাতারাতি এক জনকে লাদাখ এবং অন্য জনকে অরুণাচল বদলি করে দেওয়া হয়। এ বার তা নিয়েই নিজের উষ্মা প্রকাশ করলেন বিজেপি নেত্রী তথা পশুপ্রেমী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গাঁধী। তিনি বলেন, ‘‘আমি ওই আইএএস দম্পতি সঞ্জীব ও রিঙ্কুকে খুব ভাল করে চিনি। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। তাঁরা অত্যন্ত প্রতিভাবান এবং সৎ আমলা। যখন সঞ্জীব পরিবেশ দফতরের সচিব ছিলেন, তখন দিল্লি উপকৃত হয়েছিল। তাঁরা শুধু অভিযোগ শুনেই ক্ষান্ত দিতেন না, তা সমাধানের চেষ্টাও করতেন।’’
এর পরেই ঘুরিয়ে অমিত শাহের মন্ত্রকের দিকে কটাক্ষ করে মানেকা বলেন, ‘‘এক জনকে এ ভাবে যেখানে সেখানে বদলি করে দেওয়া যায় না। এই নির্দেশের ফল ভোগ করবে দিল্লি এবং কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পিছনে ষড়যন্ত্র আছে।’’ এখানেই শেষ নয়, মানেকা আরও বলেন, ‘‘লাদাখ ও অরুণাচল এমন জায়গা, যেখানে মানুষ বেড়াতে যান। কেন এই সমস্ত জায়গাগুলোকে শাস্তিমূলক বদলির জায়গা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়? এই জায়গাগুলোতেও ভাল অফিসার দরকার।’’