মুখে কালো কাপড় জড়ানো ব্যক্তির গালে সপাটে চড় এক ভক্তের। ছবি: টুইটার।
মন্দির চত্বরে হাঁটু মুড়ে বসে রয়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক ‘সন্ত্রাসবাদী’। মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা। চার পাশে ভয়ের আবহ। এর মধ্যেই ওই ‘সন্ত্রাসবাদী’র কাছে গিয়ে গালে সপাটে এক থাপ্পড় মারলেন এক জন। এক বার নয়, দু’বার। মহারাষ্ট্রের ঢুলের এক মন্দিরের সেই ভিডিয়ো এখন ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। আনন্দবাজার অনলাইন তার সত্যতা যাচাই করেনি। ওই ব্যক্তির সাহস দেখে হতবাক সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। তবে ভিডিয়োর শেষে ওই ‘সন্ত্রাসবাদী’র পরিচয় প্রকাশ্যে আসতে বিস্ময় আরও বেড়েছে।
ভিডিয়োতে যেই ব্যক্তি চড় মারছেন, তাঁর নাম প্রশান্ত কুলকার্নি বয়স ৩৫ বছর। তিনি গিয়ে মুখে কালো কাপড় জড়ানো এক ‘সন্ত্রাসবাদী’র গালে চড় মারেন। ওই ‘সন্ত্রাসবাদী’ এক ভক্তের কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বাকি ভক্তদের মধ্যে সেই দেখে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। প্রশান্তের ছোট মেয়েও কাঁদতে শুরু করে। তখনই এগিয়ে গিয়ে মুখে কালো কাপড় জড়ানো ব্যক্তির গালে চড় মারেন প্রশান্ত। তিনি বলেন, ‘‘আপনার বোধ আছে?’’
এর পরেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। জানায়, ঢুলের ওই মন্দিরের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে ‘মক ড্রিল’ চলছিল। মুখে কাপড় জড়ানো ব্যক্তি কোনও ‘সন্ত্রাসবাদী’ নন। এক জন পুলিশ আধিকারিক। প্রশান্তও বিষয়টি বুঝতে পারেননি। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। অনেকেই প্রশান্তের সাহসের প্রশংসা করেছেন। অনেকে আবার বলেছেন, আসল ‘সন্ত্রাসবাদী’ হলে আর এ সব করার সাহস পেতেন না প্রশান্ত। অনেকেই আবার মনে করেন এ ভাবে ‘মক ড্রিল’ চালানো উচিত হয়নি পুলিশের।