—প্রতীকী ছবি।
এক যুবককে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাড়া করছেন চার জন। প্রাণপণে ছুটছেন তিনি। একটা সময় তাঁকে ধরে ফেললেন হামলাকারীরা। তার পরই জাপটে ধরে মাটিতে ফেলে চলল বেধড়ক মার। ওই চার জনের মধ্যে এক জন আবার ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর কোপ বসাচ্ছিলেন। যুবক প্রাণপণে তা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছিলেন। চার জনের সঙ্গে ওই যুবকের ধস্তাধস্তি চলছিল রাস্তার মধ্যেই। বৃহস্পতিবার এমনই ভয়ানক দৃশ্যের সাক্ষী থাকল তেলঙ্গানার সূর্যপেট। যা দেখে মনে হবে দক্ষিণের কোনও ছবির ‘অ্যাকশন’ দৃশ্য!
যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে দেখে পথচারীদের কয়েক জন বাধা দিতে এগিয়েও যান। কিন্তু তাঁরা এঁটে উঠতে পারেননি। পরে আরও বেশ কয়েক জন হামলাকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁরা হামলাকারীদের দিকে তেড়েও যান। কিন্তু সে দিকে কোনও ভ্রুক্ষেপই ছিল না হামলাকারীদের। যুবককে মারধরের পর ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়। আক্রান্ত যুবক তখনও হামলাকীরাদের সঙ্গে যুঝে যাচ্ছিলেন। পরে স্থানীয়েরা হামলাকারীদের জোর করে সরিয়ে দিতেই আক্রান্ত যুবক টলতে টলতে ওই জায়গা ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, আক্রান্ত যুবকের অবস্থা স্থিতিশীল।
পুলিশ সূত্রে খবর, আক্রান্ত যুবকের নাম সি সন্তোষ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে হামলা চালানো হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন, ভি কৃষ্ণা, মণিদীপ, পি মহেশ এবং প্রেম নায়ডু। তাঁদের মধ্যে এক জন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। হামলাকারীদের মধ্যে কৃষ্ণার সঙ্গে সন্তোষের একটা ঝামেলা চলছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তার জেরেই এই হামলা বলে মনে করছে পুলিশ। সন্তোষের গতিবিধির উপর নজর রাখছিলেন হামলাকারীরা। বৃহস্পতিবার সুযোগ আসতেই তাঁর উপর ধারানো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান কৃষ্ণারা। চার অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।