গ্রামপ্রধানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
মিথ্যা অপবাদ দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল গ্রামপ্রধানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গাছের সঙ্গে বেঁধে গ্রামের এক বাসিন্দাকে মারছিলেন তিনি। গ্রামপ্রধানের সঙ্গে ছিলেন আরও ছয় জন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ এই ঘটনাটি আগরার ফিরোজাবাদ জেলার দিবাযাচি গ্রামে ঘটেছে। নির্যাতিত গ্রামের বাসিন্দার নাম মুকেশ কুমার। গ্রামপ্রধান-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মুকেশ।
মুকেশের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর বাড়িতে হঠাৎ ছয় জনকে নিয়ে গ্রামপ্রধান ঢুকে পড়েন। বাড়ি ঢুকেই মুকেশকে মারধর করতে শুরু করেন তাঁরা। কারণ, জিজ্ঞাসা করায় গ্রামপ্রধান জানান যে, মুকেশ নাকি চেয়ার চুরি করেছেন। সেই অপরাধের কারণেই মারধর করা হচ্ছে তাঁকে।
তার পর বাড়ি থেকে বার করে মুকেশকে গ্রামের বাইরে নিয়ে যান তাঁরা। একটি বটগাছের সঙ্গে তাঁর হাত-পা এবং গলা দড়ি দিয়ে বেঁধে আবার মারতে শুরু করেন। মুকেশের অভিযোগ, গাছের তলায় আগুন লাগিয়ে সকলে পালিয়ে যান। আগুনের ধোঁয়ায় দম নিতে পারছিলেন না তিনি।
ওই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন এক অচেনা ব্যক্তি। মুকেশকে ওই অবস্থায় দেখে তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, সেখানেই মুকেশ চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। ফিরোজাবাদ থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, মুকেশের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রামপ্রধানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি ছয় জনকেও খুঁজে বার করার জন্য তদন্তে নেমেছে পুলিশ।