Gold Smuggling

দুবাই থেকে পাচার করে এনেছিলেন ৫০ লক্ষ টাকার সোনা, এটিএস সেজে তা নিয়ে চম্পট গুজরাতে

অভিযোগকারীর নাম দানিশ শেখ। থানায় তিনি জানিয়েছেন, ৯ অক্টোবর দুবাই গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন বদোদরার এক ব্যক্তি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

আমদাবাদ শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৪৬
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

একেই বলে চোরের উপর বাটপাড়! দুবাই থেকে সোনা চোরাচালান করেছিলেন গুজরাতের এক ব্যক্তি। সন্ত্রাস দমন শাখা (এটিএস)-এর অফিসার সেজে তাঁর থেকেই দু’টি সোনার ক্যাপসুল চুরি করলেন দুই ব্যক্তি, যার মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। শেষ পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করেন ‘পাচারকারী’। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

Advertisement

অভিযোগকারীর নাম দানিশ শেখ। থানায় তিনি জানিয়েছেন, ৯ অক্টোবর দুবাই গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন ভদোদরার এক ব্যক্তি। সোনা চোরাচালান করে ভারতে নিয়ে আসার জন্য ২০ হাজার টাকাও দিয়েছিলেন। দানিশ জানিয়েছেন, মলদ্বারে সোনার দু’টি ক্যাপসুল লুকিয়ে ২৮ অক্টোবর ভোরে আমদাবাদ বিমানবন্দরে নেমেছিলেন। বিমানবন্দরের বাইরে তাঁর জন্য একটি গাড়ি অপেক্ষা করছিল। তাতে ছিলেন দু’জন। সেই গাড়িতে চেপে ভদোদরা যাওয়ার কথা ছিল দানিশের।

এফআইআর অনুযায়ী, গাড়িতে যখন উঠছিলেন দানিশ তখনই কাছে আসেন দু’জন। তাঁরা নিজেদের এটিএস অফিসার বলে পরিচয় দেন। জানান, দানিশ যে সোনা পাচার করছেন, তা তাঁরা জানেন। থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দানিশকে গাড়িতে বসিয়ে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যান। সেখানে দানিশের জন্য অপেক্ষারত বাকি দু’জনকে নামিয়ে দেন। তার পর গাড়ি চালিয়ে দানিশকে একটি বহুতলে নিয়ে যান। সেখানে এগারো তলায় একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে তাঁর মলদ্বার থেকে সোনার ক্যাপসুল বার করে নেন। দু’টি ক্যাপসুলের ওজন ৮৫০ গ্রাম। দাম প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। এর পর দানিশকে একটি বাস স্ট্যান্ডে ছেড়ে চম্পট দেন তাঁরা। প্রথমে থানায় কিছু জানাতে চাননি দানিশ। গোটা বিষয়টি চেপে গিয়েছিলেন। পরে থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিক আরএইচ পাণ্ডব।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement