গত শুক্রবার ভাদোদরার একটি মাল্টিপ্লেক্সে বান্ধবীকে নিয়ে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন বিরাজ প্যাটেল। প্রতীকী ছবি।
মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন মুম্বইয়ের এক মডেলের সঙ্গে। আচমকা একটি ঝামেলায় জড়িয়ে থানায় এসে পৌঁছতেই ফাঁস হয়ে গেল পরিচয়! ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন তাঁরই মডেল ‘বান্ধবী’।
ঘটনাটি গুজরাতের। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম বিরাজ প্যাটেল। তিনি গুজরাতের গান্ধীনগরের বাসিন্দা। গত শুক্রবার বরোদার একটি মাল্টিপ্লেক্সে বান্ধবীকে নিয়ে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই একজনের সঙ্গে অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন। বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়েই ওই ব্যক্তির সঙ্গে থানায় পৌঁছন তিনি। পুলিশ তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে কর্মরত আধিকারিক বলে পরিচয় দেন। কিন্তু পুলিশ তাঁর পরিচয়পত্র দেখতে চাইতেই প্রকাশ্যে আসে আসল পরিচয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির আধার কার্ডে কোনও পদবি লেখা ছিল না। প্যানকার্ডেও অন্য পদবি লেখা ছিল। পুলিশকে যে পরিচয় তিনি দিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে তাঁর কোনও পরিচয়পত্রেরই নাম মেলেনি। পুলিশের জেরার মুখে এর পরই ওই ব্যক্তি স্বীকার করে নেন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের কর্মী নন। এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন মুম্বইয়ের ওই মডেল।
পুলিশকে ওই মডেল জানিয়েছেন, নিজেকে শুধু মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের কর্মীই বলেননি ওই প্রতারক। পরিচয়ের শুরুতে বিরাজ জানিয়েছিলেন, তিনি গুজরাতের ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স টেক সিটি যার আরএক নাম গিফ্ট সিটি, তার প্রেসিডেন্টও। মুম্বইয়ের ওই মডেলকে টেক সিটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের করার নামে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে নিয়েছিলেন তিনি। শারীরিক সম্পর্কেও বাধ্য করেছিলেন। বিয়ে করবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। শুক্রবার ওই মডেল বান্ধবীকে নিয়েই সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন বিরাজ। কিন্তু ঝামেলায় জড়িয়ে থানায় আসতেই ফাঁস হয়ে যায় ভুয়ো পরিচয়।
বরোদার এসিপি জানিয়েছেন, বিরাজের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, ধর্ষণ, সরকারি আধিকারিক হিসাবে ভেক ধরার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় ফৌজদারী অপরাধের মামলা রুজু করা হয়েছে।