ছত্তীসগঢ়ের বিজেপি সমর্থক দুর্গেশ পাণ্ডে। ছবি: সংগৃহীত।
ভোটগণনার দিন সকাল থেকে মনমরা হয়ে পড়েছিলেন যুবক। তাঁর পছন্দের দল পিছিয়ে ছিল গণনার প্রাথমিক ‘ট্রেন্ডে’। তখনই মন্দিরে গিয়ে মা কালীর কাছে মানত করে এসেছিলেন। দেবীকে দেওয়া কথা রাখতে সে দিন সন্ধ্যায় এনডিএ-র জয়ের পর নিজের হাতের আঙুল কেটে মন্দিরে উৎসর্গ করে দেন তিনি। মুহূর্তে রক্তে ভেসে যায় মন্দির চত্বর। আঙুলটি আর জোড়া লাগানো যায়নি।
ঘটনাটি ছত্তীসগঢ়ের বলরামপুর এলাকার। যুবকের নাম দুর্গেশ পাণ্ডে। ৩০ বছর বয়সি ওই যুবক বিজেপির সমর্থক। গত ৪ জুন সকাল থেকে ভোটগণনার ফলাফলের দিকে তিনি নজর রেখেছিলেন। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে কংগ্রেসকে এগিয়ে থাকতে দেখে মনমরা হয়ে পড়েন। কংগ্রেস এবং তাদের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র ফলাফল দেখে তিনি সকালেই ছুটে গিয়েছিলেন মন্দিরে। গ্রামের যে কালী মন্দিরের উপর সকলের অগাধ আস্থা, সেখানেই গিয়েছিলেন তিনিও।
যুবক পরে জানিয়েছেন, মা কালীর কাছে তিনি বিজেপি এবং এনডিএ-র জয়ের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। মানতও করেছিলেন অঙ্গ উৎসর্গ করার। বিকেলের দিকে যখন ‘ট্রেন্ড’ মোটামুটি স্পষ্ট, এনডিএ যখন সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদুসংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে, তখন আবার তিনি ওই মন্দিরে যান। কিছু না ভেবেই নিজের বাঁ হাতের একটি আঙুল কেটে ফেলেন।
প্রাথমিক ভাবে কাপড় বেঁধে রক্ত বন্ধ করতে চেয়েছিলেন যুবক। তাতে লাভ হয়নি। মন্দিরে উপস্থিত অন্যেরা যুবককে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় অম্বিকাপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অস্ত্রোপচার করে রক্তক্ষরণ বন্ধ করেন চিকিৎসকেরা। তবে বেশি দেরি হয়ে যাওয়ায় আঙুলটি আর জোড়া লাগানো সম্ভব হয়নি। যুবকের শারীরিক পরিস্থিতি বর্তমানে স্থিতিশীল।
যুবক বলেন, ‘‘প্রথম দিকে কংগ্রেসের সমর্থকেরা খুব নাচানাচি করছিল। আমার মনখারাপ হয়ে গিয়েছিল। গ্রামের মন্দিরে গিয়ে আমি প্রার্থনা করে এসেছিলাম। পরে এনডিএ জেতায় আঙুল উৎসর্গ করেছি মন্দিরে গিয়ে। তবে ৪০০-র গণ্ডি পেরোলে আরও খুশি হতাম।’’
উল্লেখ্য, এনডিএ সরকার গঠন করলেও এ বারের লোকসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। তাই শরিক দলগুলির উপরে তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে। এনডিএ ২৯২টি আসনে জয় পেয়েছে। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ জিতেছে ২৩৩টি আসন।