—প্রতীকী চিত্র।
সামান্য একটা কাজ। অল্প সময়েই হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেটুকুর জন্যই ব্যাঙ্ককর্মীরা অনেক সময় লাগিয়ে দিচ্ছিলেন। এক বার এই কাউন্টার, আর এক বার অন্য কাউন্টার, ঘুরতে ঘুরতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন যুবক। ব্যাঙ্ককর্মীদের হেনস্থার শোধ তুলতে তাই বোমাতঙ্ক ছড়ালেন তিনি। ‘কীর্তির’ কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে।
ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের উল্লাসনগর এলাকার। অভিযুক্ত যুবক ওয়ালধুনি এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের স্থানীয় নেহরু চক শাখায় গিয়েছিলেন কেওয়াইসি সংক্রান্ত তথ্য জমা করতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ‘সামান্য’ কাজের জন্য তাঁকে রীতিমতো হয়রানির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ যুবকের। এতেই অত্যন্ত বিরক্ত হন তিনি। ঠিক করেন, ব্যাঙ্ককর্মীদের উচিত শিক্ষা দেবেন। তার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে বাড়ি ফিরেই ওই যুবক সটান ফোন করেন থানায়। তার পর জানান, ব্যাঙ্কে বোমা রাখা আছে।
সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা রক্ষীরা সতর্ক হয়ে যান। খবর দেওয়া হয় ‘বম্ব স্কোয়াডে’। তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সারা ব্যাঙ্ক চত্বর তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোনও বোমা বা বিস্ফোরক পাননি। এর পরেই খোঁজ পড়ে যিনি ফোন করে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিলেন, তাঁর। অল্প সময়ের মধ্যেই অভিযুক্তের সন্ধান মেলে। তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
উল্লাসনগর থানার সিনিয়র ইন্সপেক্টর দিলীপ ফুলপাগারে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত বেশ স্বচ্ছল পরিবারের মানুষ। পুলিশের জেরায় তিনি অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি জানান, অকারণ হেনস্থা এবং সময় নষ্ট করানোর জন্য ব্যাঙ্ক কর্মীদের শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন। আপাতত জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাঁকে।