Fastag Fraud

ফাস্ট্যাগ রিচার্জের জন্য হেল্পলাইনে ফোন করতেই অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ১ লক্ষ টাকা!

ফ্রান্সিস দেখেন, ৪৯ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে এসএমএস এসেছে। তার পর পরই আরও চারটি এসএমএস ঢোকে। কয়েক মিনিটের মধ্যে মোট ৯৯, ৯৯৭ টাকা গায়েব হয়ে যায় ফ্রান্সিসের অ্যাকাউন্ট থেকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:১৭
Share:

ফাসট্যাগ প্রতারণার শিকার এক ব্যক্তি। প্রতীকী ছবি।

ফোনে পাওয়া এসএমএসে ক্লিক করতেই টাকা উধাও। ফোন ধরতেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব। এমন প্রতারণার খবর হামেশাই শোনা যায়। কিন্তু এ বার নয়া সাইবার প্রতারণার হদিস মিলল কর্নাটকে। ফাস্ট্যাগ রিচার্জ করতে হেল্পলাইনে ফোন করেছিলেন এক ব্যক্তি। মুহূর্তেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে এক লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনাটি ঘটেছে উদুপিতে। অভিযোগ করেছেন ফ্রান্সিস পায়াস নামে এক ব্যক্তি। গত ২৯ জানুয়ারি উদুপি থেকে ম্যাঙ্গালুরুতে নিজের গাড়িতে যাচ্ছিলেন ফ্রান্সিস। হেজামারির কাছে একটি টোলপ্লাজায় পৌঁছতে তিনি দেখেন, গাড়ির ফাস্ট্যাগ কার্ডে টাকা খুব কম রয়েছে। এর পরই সেই কার্ড রিচার্জের জন্য তিনি ইন্টারনেটে হেল্পলাইন নম্বর খোঁজ করেন। নম্বরও পেয়ে গিয়েছিলেন ফ্রান্সিস। সেই নম্বরে ফোন করেন।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফ্রান্সিসের ফোন ধরেন এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে পেটিএম ফাস্ট্যাগ-এর প্রতিনিধি হিসাবে পরিচয় দেন। শুধু তাই-ই নয়, ফ্রান্সিসকে সহযোগিতা করার আশ্বাসও দেন। রিচার্জের প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ফ্রান্সিসের মোবাইলে পাঠানো ওটিপি শেয়ার করতে বলা হয়। ফ্রান্সিস ওটিপি শেয়ার করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁর মোবাইলে এসএসএস ঢোকে ব্যাঙ্ক থেকে। ফ্রান্সিস দেখেন, ৪৯ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে এসএমএস এসেছে। তার পর পরই আরও চারটি এসএমএস ঢোকে। সেই এসএমএসগুলিতে ১৯ হাজার ৯৯৯, ১৯ হাজার ৯৯৮, ৯ হাজার ৯৯৯ এবং শেষে ১ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। মোট ৯৯ হাজার ৯৯৭ টাকা কয়েক মিনিটের মধ্যে অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে ফ্রান্সিসের। তিনি যে প্রতারণা শিকার হয়েছেন বুঝতে পারার পরই ফ্রান্সিস উদুপির সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, হেল্পলাইনে ফোন করতেই ভুয়ো লিঙ্ক পাঠানো হয়েছিল ফ্রান্সিসকে। আর সেই লিঙ্কে ক্লিক করতেই তাঁর ব্যাঙ্কের সমস্ত তথ্য হাতিয়ে নেয় হ্যাকার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement