এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীকে ধর্ষণের অপরাধে এক ব্যক্তিকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিল আদালত। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের বিশেষ পকসো আদালত ওই ব্যক্তিকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে। সেই সঙ্গে হয়েছে জরিমানাও।
মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের ভাদোহির অতিরিক্ত জেলা বিচারক (পকসো) মধু ডোগরা সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। অপরাধের জন্য তাকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ, এই পুরো টাকাটাই তুলে দিতে হবে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের হাতে। জরিমানা না দিলে দোষীকে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে, এমনটাই জানিয়েছে আদালত।
ঘটনাটি ঘটে চলতি বছরের মার্চ মাসে। গত ৮ মার্চ সকালে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ১৩ বছরের ওই কিশোরী। বেলা গড়িয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিজনেরা। শেষমেশ বিকেল ৫টা নাগাদ বাড়ির অদূরে একটি মাঠে নগ্ন এবং অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাকে। হাতে ও পায়েও ছিল বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে।
স্থানীয়েরা জানান, শেষ বার ওই কিশোরীকে গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। এর পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করে মেয়েটির পরিবার। ওই দিনই তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযু্ক্তের নামে শিশু সুরক্ষা আইন (পকসো)-র অধীনে নাবালিকা ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়।