—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কেরলের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন প্রৌঢ়। লিফ্টে আটকে রইলেন দু’দিন। কিন্তু যাঁরা লিফ্টের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা সোমবার পর্যন্ত জানতেই পারলেন না। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর কড়া পদক্ষেপ করলেন কর্তৃপক্ষ।
ওই ব্যক্তির নাম রবীন্দ্রন নায়ার। তিনি উল্লুরের বাসিন্দা। শনিবার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ওপি ব্লকের লিফ্টে আটকে পড়েন তিনি। সোমবার লিফ্টের কর্মী নিয়মমাফিক তদারকি করতে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারেন। ৫৯ বছরের নায়ারকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নায়ার লিফ্টে উঠে দোতলায় যাচ্ছিলেন। দোতলায় লিফ্ট উঠলেও তার দরজা খোলেনি। এর পর তিনি চিৎকার করলেও কেউ আসেননি। আপৎকালীন বোতাম টিপেও লাভ হয়নি, তাঁর ফোনও বন্ধ ছিল। এই ঘটনায় রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্টও তলব করেছেন। লিফ্টের দু’জন অপারেটর এবং এক ডিউটি সার্জেন্টকে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করেছে স্বাস্থ্য দফতর। প্রৌঢ়ের খোঁজ না পেয়ে রবিবার তাঁর পরিবার থানায় নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগও করেছে। প্রৌঢ় সংবাদমাধ্যমকে জানান, দীর্ঘ ক্ষণ ডাকাডাকির পর যখন কেউ আসেননি, তখন তিনি হতাশ হয়ে বসে পড়েন। এর পর আর দিনক্ষণের হিসাব ছিল না তাঁর। সোমবার লিফ্টম্যান এসে বাইরে থেকে বোতাম চাপেন। তিনি ভিতর থেকে বোতাম চাপেন। দু’জনে একসঙ্গে বোতাম চেপে লিফ্ট খুলতে সমর্থ হন। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, হাসপাতালের ওই লিফ্ট তেমন ব্যবহার করা হয় না।