marriage

Marriage: মালাবদলের আগেই মণ্ডপে হাজির ‘অমিত কুমার’, ভেস্তে গেল ‘অক্ষয় কুমারের’ বিয়ে!

এই কাণ্ড দেখে বরও ‘কথা হারিয়ে’ ফেলেন। কী করা উচিত সেটা ভেবে উঠতে পারছিলেন না। শেষেমেশ কনের বাড়ির লোকেদের অনুরোধ করেন যুবককে ছেড়ে দিতে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পটনা শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২২ ১৬:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিয়ের মণ্ডপে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়লেন এক যুবক। মণ্ডপে তখন মালাবদলের জন্য প্রস্তুত বর-কনে। উপস্থিতি অতিথি-অভ্যাগতদের স্তম্ভিত করে যুবক সটান উঠে পড়েন সেই মণ্ডপে। কী হতে চলেছে তখনও কেউ আঁচ করতে পারেননি। আগন্তুকের হঠাৎ উপস্থিতিতে অতিথিদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তার পরের ঘটনার জন্য তাঁরা একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না।

Advertisement

ওই যুবক বরের হাত থেকে মালা কেড়ে নেন। তার পর সেটি পরিয়ে দেন কনের গলায়। তার পরই পকেটে হাত ঢুকিয়ে সিঁদুরের কৌটো বার করেন এবং কনেকে সেই সিঁদুর পরিয়ে দেন। এত কাণ্ড যখন ঘটছে সবাই যেন একটা ‘ঘোরের’ মধ্যে চলে গিয়েছিলেন। এত দ্রুত ঘটনাটি ঘটনাটি ঘটেছিল যে তৎক্ষণাৎ প্রতিক্রিয়া দিতে পারেননি প্রায় কেউই। সম্বিৎ ফিরতেই যুবককে টেনেহিঁচড়ে মণ্ডপ থেকে নামিয়ে অতিথিরা গণধোলাই দেওয়া শুরু করেন।

এই কাণ্ড দেখে বরও যেন ‘কথা হারিয়ে’ ফেলেন। কী করা উচিত সেটা ভেবে উঠতে পারছিলেন না। শেষেমেশ কনের বাড়ির লোকেদের অনুরোধ করেন যুবককে ছেড়ে দিতে। তিনি বলেন, “যা হয়ে গিয়েছে। ওঁকে ছেড়ে দিন।” তত ক্ষণে আর বোঝার কিছু বাকি ছিল না অক্ষয় কুমার নামে ওই বরের। এর পরই তিনি জানিয়ে দেন, এ বিয়ে তিনি করছেন না। যে হেতু কনের অন্য জনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, তাই নতুন করে এই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজি নন তিনি। বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। তলে তলে বিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি যে খোদ কনেই চাইছিলেন, সেটা ঘুণাক্ষরেও পরিবারের কেউ টের পাননি।

Advertisement

এই কাণ্ডের জন্য সবাই যখন যুবককে দুষছিলেন, পুলিশি তদন্তে উঠে আসে আসল তথ্য। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনাটিই পূর্বপরিকল্পিত। আর এই পরিকল্পনা করেছেন কনে এবং তাঁর প্রেমিক দু’জনে মিলে। তাঁরা স্থির করেছিলেন, বিয়ের মণ্ডপে এমন একটা নাটক করতে হবে যাতে বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। তাতে সাপও মরবে, আর লাঠিও ভাঙবে না।

কিন্তু পরিস্থিতি একেবারে তাঁদের পরিকল্পনার বিপরীতে চলে গিয়েছিল। যুবক তাঁর প্রেমিকাকে সিঁদুর পরিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু সেই কাজ করতে গিয়ে কনের বাড়ির লোকের হাতে উত্তমমধ্যম খেতে হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর প্রেমিকের নাম অমিত কুমার। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি তরুণীর বাড়ির লোকেরা। পুলিশের হাতে তুলে দেওযা হলেও, পরে অমিতকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি বিহারের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement