—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
গঙ্গা এবং যমুনা নদীর মাঝের জমি নিজের বলে দাবি করে আদালতে গিয়েছিলেন ব্যক্তি। নিজেকে তিনি ‘রাজার বংশধর’ বলে দাবি করেছিলেন। সেই দাবি নস্যাৎ করে দিল দিল্লি হাই কোর্ট। উল্টে মামলাকারীকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়েছে।
মামলাকারী ব্যক্তির নাম কাঁওয়ার মহেন্দ্র ধ্বজপ্রসাদ সিংহ। তিনি আদালতে জানান, ওই এলাকার প্রাক্তন রাজার বংশধর তিনি। তাই গঙ্গা এবং যমুনা নদীর মাঝের বিস্তীর্ণ এলাকার জমিতে তাঁর অধিকার রয়েছে। দিল্লি হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহন এবং বিচারপতি মনমীত অরোরার ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। আদালত জমির উপর ব্যক্তির দাবি খারিজ করে দিয়েছে।
শুনানিতে উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্বাধীনতার এত দিন পরে জমির মালিকানা দাবি করা যায় না। বিচারপতি বলেন, ‘‘স্বাধীনতার পর ৭৫ বছর কেটে গিয়েছে, জমি দাবি করার জন্য অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।’’
ওই ব্যক্তি এর আগে হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেখানেও তাঁর আর্জি খারিজ হয়ে যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবার ডিভিশন বেঞ্চে যান তিনি। তাঁর দাবি, গঙ্গা-যমুনার মাঝে আগরা থেকে মিরাট পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা স্বাধীনতার আগে তাঁর পূর্বপুরুষের মালিকানাধীন ছিল। বর্তমানে তার যোগ্য উত্তরসূরি তিনি নিজে। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে সমঝোতার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন ব্যক্তি। তিনি যতটা জমি নিজের বলে দাবি করেছেন, উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও একাধিক রাজ্যে তা বিস্তৃত। এই ধরনের দাবি নিয়ে মামলা করার জন্য ব্যক্তিকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।