যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি থেকে উদ্ধার এক যুবকের দেহ। প্রতীকী ছবি।
টোল প্লাজ়ায় চালক থামতেই এক কর্মীর নজর যায় গাড়ির পিছনের দিকে। যে দৃশ্য চোখে পড়েছিল, তা দেখে আঁতকে উঠেছিলেন তিনি। গাড়ির পিছনে আটকে ছিল এক যুবকের দেহাংশ। কোমরের নীচ থেকে একটি পা উধাও। বাকি দেহ তালগোল পাকানো। চালককে তৎক্ষণাৎ দাঁড় করিয়ে পুলিশে খবর দেন টোল প্লাজ়ার কর্মীরা। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। আটক করা হয় চালককে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মথুরার মান্ট এলাকার যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে।
কোথা থেকে এল এই দেহ? কী ভাবেই বা গাড়ির পিছনে আটকে রইল? তা হলে কী গাড়ির চালক যুবককে ধাক্কা মেরেছিলেন? এই ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠে এসেছে। যদিও চালকের দাবি, কী ভাবে এই দেহ তাঁর গাড়িতে আটকাল তা তিনি জানেন না। তাঁর আরও দাবি, অন্য কোনও গাড়ির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু হয়েছিল। কুয়াশা থাকার কারণে সেই দেহ দেখতে না পাওয়ায় তাঁর গাড়িতে হয়তো আটকে গিয়েছে। যদিও চালকের দাবি সত্যি কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য হাইওয়ের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে পুলিশ।
কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ হাতে এসেছে পুলিশের। তার মধ্যে একটিতে দেখা গিয়েছে মাইলস্টোন ১০৬-এর কাছে ওই যুবকের জুতো মোবাইল এবং দেহাংশ পড়ে রয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, দুর্ঘটনা এই জায়গাতেই হয়েছে। সেখান থেকে মান্ট টোল প্লাজ়ার দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। পুলিশের সন্দেহ, যুবকের দেহ এই ১০ কিলোমিটার ধরে হিঁচড়ে নিয়ে এসেছেন চালক। তাঁর গাড়ির ধাক্কাতেই মৃত্যু হয়েছে, না অন্য গাড়ির ধাক্কায় তা নিয়ে রহস্য বাড়ছে। পুলিশ জানিয়েছে, যুবকের চেহারা এমন ভাবে বিগড়ে গিয়েছে যে চেনাই দায় হয়েছে। তাঁর শনাক্তকরণের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনাই স্মৃতি উস্কে দিয়েছে বর্ষবরণের রাতে দিল্লির কানঝাওয়ালার অঞ্জলি সিংহের মৃত্যুর ঘটনা। একটি গাড়ি ধাক্কা মেরে তাঁর দেহ ১৩ কিলোমিটার টেনে নিয়ে যায়। দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল অঞ্জলির।