মেয়েটিকে বাঁচানোর রুদ্ধশ্বাস সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে।
কাজ থেকে ফিরছিলেন পেশায় ছুতোর মিস্ত্রি মহম্মদ মেহবুব। বাড়ি থেকে কর্মস্থল থেকে হাঁটাপথ। সেখানে যেতে গেলে মাঝে একটি রেললাইন পড়ে। তা টপকেই যাতায়াত করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একটি মালগাড়ি আসতে দেখে লাইনের এ পারেই দাঁড়িয়ে পড়েন মেহমুদ এবং আরও কয়েক জন পথচারী।
মালগাড়িটি তখনও বেশ কিছুটা দূরে। লাইনের ধারে বাচ্চা মেয়েকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল একটি পরিবার। হঠাৎই মেয়েটি লাইনের উপর পড়ে যায়। উঠে সরে আসার চেষ্টা করছিল সে। তত ক্ষণে একেবারে কাছে চলে এসছিল মালগাড়িটি।
সবাই যখন কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না, তখন আর নিজেকে আর সামলে রাখতে পারেননি বছর সাইত্রিশের মেহমুদ। নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে লাফ মেরে মেয়েটিকে লাইনের মাঝে নিয়ে আসেন। ট্রেনের ধাক্কা থেকে বাঁচতে নিজের এবং মেয়েটির মাথা স্লিপারের মাঝে চেপে রেখে দিয়েছিলেন। মালগাড়িটি তত ক্ষণে তাঁদের মাথার উপর দিয়ে দুরন্ত গতিতে ছুটছিল। ট্রেনটি চলে যেতে মেয়েটিকে নিয়ে লাইন থেকে ওঠেন মেহমুদ। তাঁদের গায়ে একটুও আঁচড় লাগেনি। কথায় আছে, রাখে হরি মারে কে। ভোপালের এই ঘটনা তা আবার প্রমাণ করল।