—প্রতীকী চিত্র।
তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শিক্ষিকা। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিল। তার মাঝেই আত্মহত্যা করলেন যুবক। নিজের ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হল। পরিবারের অভিযোগ, যুবককে ব্ল্যাকমেল করছিলেন শিক্ষিকা। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছিল বলেও দাবি করেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যেরা।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের। মৃত যুবকের বয়স ১৯ বছর। তিনি যে কোচিং সেন্টারে ইংরেজি পড়তে যেতেন, সেখানকার শিক্ষিকা তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। অভিযোগ, তার পর থেকেই মনমরা হয়ে পড়েছিলেন যুবক। শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিল। কিছু দিন আগে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। তবে যুবককে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
যুবকের পরিবার জানিয়েছে, পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে যাওয়ার পর আরও মনমরা এবং বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে নিজের ঘরেই তিনি গলায় দড়ি দেন। তাঁকে ঝুলতে দেখেন তাঁর বৌদি। তার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে দেহ উদ্ধার করে। যুবকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ইনদওরের মহিলা থানার আইসি কৌশল্যা চৌহান জানিয়েছেন, ২৫ বছর বয়সি মহিলা ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। মহিলা পেশায় ইংরেজি শিক্ষিকা। তাঁর কোচিংয়ে যুবক পড়তে যেতেন। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে যুবককে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়। তার পর পুলিশের কাছে তাঁর আত্মহত্যার খবর এসেছে। কেন যুবক এই সিদ্ধান্ত নিলেন, তা তদন্তের পরই জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যুবকের বাবা জানান, গত কয়েক দিন ধরেই ইংরেজি শিক্ষিকা তাঁর পুত্রকে ব্ল্যাকমেল করছিলেন। এই সংক্রান্ত ফেসবুকের পোস্টের স্ক্রিনশটও পুলিশকে দেখিয়েছেন যুবকের বাবা। সেখানে দেখা গিয়েছে, ধর্ষণের মামলায় ফাঁসানোর হুঁশিয়ারি যুবককে দিচ্ছেন ওই মহিলা। যদিও ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিশদে কিছু বলতে চাননি তিনি।