Bihar Incident

নাবালিকাকে বিয়ে করে গ্রেফতার, হেফাজতেই আত্মঘাতী বর-কনে! থানা জ্বালিয়ে দিলেন গ্রামবাসীরা

বিহারের আরারিয়া জেলায় দু’দিন আগে ১৪ বছরের কিশোরীকে বিয়ে করেছিলেন এক যুবক। নাবালিকা বিবাহের অপরাধে তাঁকে এবং ওই কিশোরীকে পুলিশ থানায় ধরে নিয়ে যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৪ ১০:৩৭
Share:

বিহারের গ্রামের সেই থানা। ছবি: সংগৃহীত।

নাবালিকাকে বিয়ে করায় বিয়ের আসর থেকেই বরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। আটক করা হয়েছিল কনেকেও। পুলিশের হেফাজতেই আত্মঘাতী যুগল। যে খবর জানাজানি হওয়ার পর ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা থানায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন। অভিযোগ, পুলিশের মারধর এবং নজরদারির অভাবেই হেফাজতে থাকাকালীন দু’জন আত্মঘাতী।

Advertisement

বিহারের আরারিয়া জেলার তারাবাড়ি গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, দিন দুয়েক আগে গ্রামের ১৪ বছরের এক কিশোরীকে বিয়ে করেন অভিযুক্ত যুবক। দেড় বছর আগে কিশোরীর দিদির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পর শ্যালিকাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন যুবক। শ্যালিকার বিয়ের বয়স না হওয়া সত্ত্বেও গ্রামের ছাঁদনাতলায় চার হাত এক হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা বর এবং কনেকে বিয়ের আসর থেকে থানায় নিয়ে যায়।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, থানায় বর এবং কনেকে মারধর করা হয়েছিল। তার পর সেখানেই কাপড় ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা। পুলিশের নজরদারির অভাবের কারণেই থানার ভিতর এমন একটি কাণ্ড ঘটেছে, অভিযোগ স্থানীয়দের। ঘটনার পর একটি সিসিটিভি ফুটেজও ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে, যেখানে দেখা যায়, থানার লক-আপ বেয়ে উঠছেন এক যুবক। তার পর গলায় দড়ি দিচ্ছেন। যদিও এটি ওই থানার ভিডিয়ো কি না, তা স্পষ্ট নয়। ভিডিয়োর সত্যতাও যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement

ভিডিয়ো দেখে গ্রামের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাঁরা একসঙ্গে গিয়ে থানা ঘেরাও করেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাথর। উত্তেজিত জনতা থানায় ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। তার পর থানায় আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে আশপাশের গ্রাম এবং সদর দফতর থেকে বাড়তি পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে থানার ভিতর দুই বন্দির আত্মহত্যা নিয়ে পুলিশ এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement