প্রতীকী ছবি।
মেয়েদের স্কুলের বাইরে কয়েক এক দল যুবক আড্ডা মারছিলেন। স্কুল ছুটি হতেই এক ছাত্রীকে ওই যুবকেরা উত্ত্যক্ত করা শুরু করেন। তাকে লক্ষ্য করে কটূক্তিও করতে থাকেন। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করে রুখে দাঁড়ায় ওই ছাত্রী। অভিযোগ, তখনই যুবকদের মধ্যে ভিকি নামে এক জন ছাত্রীর উপর হামলা চালাতে উদ্যত হন। হাতে লাঠি নিয়ে তাকে তাড়া করেন।
যুবকের হাত থেকে বাঁচতে ছাত্রীটি রাস্তা দিয়ে ঊর্ধবশ্বাসে দৌড়তে শুরু করেন। তার পিছু পিছু ধাওয়া করতে থাকেন ভিকি। রাস্তা দিয়ে এক ছাত্রী দৌড়চ্ছে, চিৎকার করে পথচারীদের কাছে সাহায্য চাইছে, এই দৃশ্য দেখার পরেও কেউ এগিয়ে আসেননি। বরং অনেকেই বিষয়টি কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ। প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা ছাত্রীটিকে তাড়া করার পর তাকে ধরে ফেলেন ভিকি। অভিযোগ, তার পর ছাত্রীটিকে মাটিতে ফেলে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। মাটিতে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারালেও ভিকি তাকে লাঠি দিয়ে ক্রমাগত আঘাত করতে থাকেন। তার পর ছাত্রীটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
স্থানীয়দের মধ্যে কয়েক জন ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ের কবীরধাম জেলার বাহমনি গ্রামে। অভিযুক্তকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ছাত্রীর বাবার সঙ্গে কয়েক দিন আগে ঝামেলা হয়েছিল যুবকের। সেই ঘটনার ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন যুবক। মঙ্গলবার ছাত্রীটি স্কুল থেকে বেরোতেই তার উপর হামলা চালান তিনি।