ধসবিধ্বস্ত ওয়েনাড়।ফাইল চিত্র। ফাইল চিত্র।
কেরলের ওয়েনাড়ে আবার কি কোনও নতুন বিপদ আসতে চলেছে? তেমনই আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। কারণ, সেখানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আর এই বৃষ্টির জেরে হড়পা বান সৃষ্টি হতে পারে। ফলে একটা প্লাবনের আশঙ্কাও দেখা দিচ্ছে।
বুধবার মৌসম ভবন ওয়েনাড়ের বেশ কয়েকটি জায়গায় সতর্কতা জারি করেছে। বুধ থেকে বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওয়েনাড় এবং কোঝিকোড়ে ৭০-২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তার জেরেই নতুন করে বিপদের আঁচ করা হচ্ছে। বুধবারই একদল আবহবিজ্ঞানী জানিয়েছিলেন, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিপুল পরিমাণ বৃষ্টির কারণে ধস নেমে এসেছিল ওয়েনাড়ে। বুধবার থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে ওয়েনাড় এবং কোঝিকোড়ে। ভারী বৃষ্টির জেরে যাতে ৩০ জুলাইয়ের মতো পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না হয়, তাই আগেভাগেই সতর্ক করা হয়েছে জেলাগুলিকে।
মৌসম ভবনের প্রধান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানান, ভারতের পশ্চিম উপকূলে কত বৃষ্টি হতে পারে, তার একটা পূর্বাভাস নিয়মিতই দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ৩০ জুলাই কেরলে চূড়ান্ত সতর্কতাও জারি করা হয়েছিল। গত ৩০ জুলাই রাত থেকে ভোরের মধ্যে চার বার ধস নেমে এসেছিল ওয়েনাড়ে। তার জেরে মুন্ডাক্কাই, চূড়ালমালা, ভেলারিমালার মতো বেশ কয়েকটি গ্রাম প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। সেই ধসের ঘটনায় তিনশোরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ বহু। সেই ধসের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও নতুন বিপদের মেঘ ঘনাতে শুরু করেছে ওয়েনাড়ে।