এ ভাবেই পলানিস্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ছবি: সংগৃহীত।
গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি। পাহাড়ি গ্রাম। ফলে অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়াও দুষ্কর। তাই বাধ্য হয়েই বাঁশের মধ্যে কাপড় বেঁধে তার মধ্যে শুইয়ে রোগীকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে হাঁটা লাগালেন গ্রামবাসীরা। পাঁচ কিলোমিটার চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তিন ঘণ্টা ধরে হেঁটে অবশেষে সরকারি হাসপাতালে পৌঁছন তাঁরা। কিন্তু তত ক্ষণে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছিল রোগীর। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর তিরুপুরে।
মৃতের নাম পলানিস্বামী। কুরুমালাই নামে প্রত্যন্ত একটি আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পাহাড়ি রাস্তা। যোগাযোগের মাধ্যমও খুব একটা মসৃণ নয়। পলানিস্বামীর শারীরিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকায় পরিবারের সদস্য এবং কয়েক জন গ্রামবাসী আর অপেক্ষা না করে ১৫ কিলোমিটার দূরে উরুমালপেট সরকারি হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। যানবাহন না পাওয়ায় স্ট্রেচার হিসাবে ব্যবহার করা হয় বাঁশ এবং কাপড়।
তার মধ্যে পলানিস্বামীকে শুইয়ে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা দেন তাঁর পরিবারের সদস্যsরা। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। স্থানীয় প্রশাসনের কাছেও সেই ভিডিয়ো পৌঁছয়। তিরুপুরের জেলাশাসক টি ক্রিসতুরাজ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই এলাকায় রাস্তা তৈরি হচ্ছে। জেলা এবং মহকুমা স্তর থেকে সেই নির্মাণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ওই গ্রামটি খাড়াই এলাকায় হওয়ার জন্য রাস্তা নির্মাণ হয়নি। ফলে পাহাড়ের চড়াই-উতরাই পেরিয়েই যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীদের। তবে দ্রুত তাঁদের সুবিধার জন্য রাস্তা তৈরি করা হবে। পলানিস্বামীর মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।