Cobra

ক্ষেতে যাওয়ার সময় পায়ে ছোবল মেরেছিল গোখরো, পাল্টা কামড়ে মৃত্যু হল সাপের!

গ্রামবাসীরা সলিলের মুখে এ কথা শুনে হতভম্ব হয়ে যান। তাঁকে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু সলিল যেতে অস্বীকার করেন। পাল্টা দাবি করেন, তিনি মন্ত্র জানেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বালেশ্বর শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:১৮
Share:

সাপের পিছু ধাওয়া করে সেটিকে ধরে কামড় বসিয়ে দেন সলিল। প্রতীকী ছবি।

গোখরো ছোবল মেরেছিল পায়ে। আর সেই সাপকেই রাগের বশে কামড়ে মেরে ফেললেন এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটছে ওড়িশার বালেশ্বরে।

Advertisement

বালেশ্বরের দারাগা গ্রামের বাসিন্দা সলিল নায়েক। মঙ্গলবার ক্ষেতে যাওয়ার সময় তাঁর পায়ে একটি গোখরো ছোবল মেরে পালিয়ে যায়। সলিলও পিছু ধাওয়া করে গোখরোটিকে ধরেন। তার পর সেটির শরীরে একের পর এক কামড় বসিয়ে দেন। আর সেই কামড়েই মৃত্যু হয় গোখরোটির।

সাপটিকে কামড়ে মেরে ফেলাই নয়, সেটিকে গলায় জড়িয়ে গ্রামে হাজির হন সলিল। তাঁর গলায় জড়ানো সাপ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। সলিল নিজেই তাঁদের জানান, সাপটি তাঁকে কামড়েছিল, আর সেই রাগেই সাপটিকে কামড়ে মেরে ফেলেছেন।

Advertisement

গলায় সাপ জড়িয়ে গ্রাম পৌঁছন সলিল।

গ্রামবাসীরা সলিলের মুখে এ কথা শুনে হতভম্ব হয়ে যান। তাঁকে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু সলিল যেতে অস্বীকার করেন। পাল্টা দাবি করেন, তিনি মন্ত্র জানেন। আর সেই মন্ত্র পড়েই বিষ শরীর থেকে ঝেড়ে ফেলেছেন। সলিলের এ কথা শুনে গ্রামবাসীরা জেলা বনাধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোটা ঘটনাটি জানান।

জেলা বনাধিকারিক আয়ুষ জৈন জৈানান, দারাদা গ্রামে এক ব্যক্তিকে গোখরো কামড়ানোর খবর পেয়ে সেখানে কর্মীদের পাঠানো হয়। সলিলকে ধরে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বুধবারই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁকে সতর্কও করা হয়। জৈন বলেন, “সলিল শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকলেও মানসিক ভাবে অসুস্থ। তাঁর পরিবারকে সলিলের খেয়াল রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement