ফাইল চিত্র
মুখ্যমন্ত্রীর খাস তালুকেই গণপিটুনিতে প্রাণ গেল এক যুবকের। ওড়িশার গঞ্জাম জেলার চিঙ্গুড়িঘাই গ্রামে ওই যুবককে চোর সন্দেহে আটক করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তার পরে গ্রামবাসীদের মনেই তাঁকে খুঁটিতে বেঁধে বেধড়ক মার ধর করা হয়। অমানবিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। ঘটনাটির একটি ভিডিয়ো সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার গঞ্জাম জেলার আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। তবে তাতে দেখা গিয়েছে চিঙ্গুড়িঘাই গ্রামের বাসিন্দাদের সামনেই অত্যাচার করা হচ্ছে ওই যুবকের উপর। সেখানে উপস্থিত গ্রামের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরাও।
এই গঞ্জামেরই হিঞ্জলি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। চিঙ্গুড়িঘাইগ্রামটি তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের এলাকার কাছেই। গঞ্জামের মানুষজন অভিযোগ করেছেন, এই জেলাতেএই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। কিছুদিন আগেও এক মহিলাকে ডাকিনীবিদ্যা চর্চা করেন সন্দেহে পিটিয়ে মারা হয়েছিল এই গঞ্জামেরই এক গ্রামে। তার পর জেলায় পুলিশের একটি কমিটিও তৈরি করা হয়েছিল। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটলেই দ্রুত খবর দেবে। তার পরও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর নৃশংসতা দেখে তাঁদের অভিযোগ, একে প্রশাসনের ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছু বলার নেই।
পুলিশ এই ঘটনার অনেক পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ততক্ষণে ওই যুবকের মৃতদেহ একটি প্রাথমিক স্কুলবাড়ির কাছে মাটি চাপা দিয়ে দিয়েছিল স্থানীয় মানুষজন। পুলিশ সূত্রে খবর ওই মৃত যুবকের নাম বহুদা সাহু। তার বাড়ি পুরী জেলায়। পুলিশ এই ঘটনায় মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।