প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ঘরোয়া বিবাদের জেরে স্বামীকে ভাড়াটে খুনি দিয়ে খুন করানোর ‘ঘোষণা’। রীতিমতো হোয়াট্সঅ্যাপে এ প্রসঙ্গে জানান দিয়ে ৫০ হাজার টাকা ‘পুরস্কারের’ কথাও উল্লেখ করেন। স্ত্রীর হোয়াট্সঅ্যাপ স্টেটাস দেখেই নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন স্বামী। উত্তরপ্রদেশের আগরার এই ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে।
স্থানীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহিলা হোয়াট্সঅ্যাপে স্টেটাসে লেখেন, “আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাবা-মা বিয়ে দিয়েছে। স্বামীর সঙ্গে থাকতে চাই না আমি। স্বামীকে খুন করলে ৫০ হাজার টাকা দেব।” স্ত্রীর দেওয়া এই স্টেটাস দেখার পরই পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে যায় যুবকের। আতঙ্কে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৯ জুলাই মধ্যপ্রদেশের ভিন্ড জেলার এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল যুবকের। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। তার পরই ডিসেম্বরে বাপের বাড়ি চলে যান মহিলা। শুধু তাই-ই নয়, ভিন্ডের এক আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে ভরণপোষণের মামলাও দায়ের করেছিলেন। সেই মামলা এখনও চলছে। সম্প্রতি সেই মামলার তারিখ পড়ায় ভিন্ডে যেতে হয়েছিল যুবককে। সেখান থেকে ফিরে এসে স্ত্রীর হোয়াট্সঅ্যাপে ওই স্টেটাস দেখতে পেয়েই রাতের ঘুম উড়ে যায় যুবকের। তাঁর আরও অভিযোগ, ২০২৩ সালের ২১ ডিসেম্বের ভিন্ডের আদালতে যখন গিয়েছিলেন, সেই সময় তাঁকে ঘিরে ধরে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার পর স্ত্রীর এই স্টেটাসে তিনি নিরাপদ বোধ না করায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।