উত্তরপ্রদেশে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে, বাধা দিতে এলে খুন শাশুড়িকেও। —প্রতীকী চিত্র।
পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করলেন যুবক। তাঁদের বচসা থামাতে যাওয়ায় শাশুড়িকেও মেরে ফেললেন তিনি। মা এবং মেয়ের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। তারা এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কানপুরের চাকেরির ফ্রেন্ডস কলোনি এলাকার। নিহতেরা হলেন কামিনী সিংহ (৩৯) এবং তাঁর মা পুষ্পা (৬২)। পুলিশ জানিয়েছে, কামিনীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। তাঁর মায়ের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দু’জনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেখান থেকেই অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত জোশেফ পিটার বুলন্দশহরের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রী কামিনী একটি বেসরকারি ক্যান্টিনে চাকরি করতেন। বিয়ের পর থেকেই যুবক স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন বলে অভিযোগ। তা নিয়ে দাম্পত্যকলহও লেগে থাকত। সম্প্রতি তাঁর সন্দেহ হয়েছিল, দিল্লির এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে রয়েছেন কামিনী। ডিসিপি রাজেশ শ্রীবাস্তব সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, রবিবার স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্য একটি অটো ভাড়া করেছিলেন জোশেফ। কিন্তু কামিনী তাঁর সঙ্গে ঘুরতে যেতে রাজি হননি। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়।
রাগের মাথায় স্ত্রীর গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ বসিয়ে দেন যুবক। বাধা দিতে গেলে কামিনীর মাকেও তিনি আক্রমণ করেন। সামনে পড়ে থাকা একটি লোহার রড দিয়ে শাশুড়ির মাথায় সজোরে আঘাত করেন তিনি। দু’জনেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যান মেঝেতে। তাঁদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা পুলিশ ডাকেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহগুলি পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। ডিসিপি জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।