(বাঁ দিকে) কর্নাটকে দুর্ঘটনায় মৃত তরুণ আইপিএস অফিসার হর্ষ বর্ধন। রাস্তার উপর তাঁর দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন। প্রশিক্ষণ চলেছে দীর্ঘ সময় ধরে। কিন্তু চাকরি করা হল না। চাকরিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তরুণ আইপিএস অফিসারের। কর্নাটকে পুলিশের গাড়িতে দুর্ঘটনার ফলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। দফতরে যাওয়ার পথে ওই আধিকারিকের গাড়ির চাকা ফেটে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা মারেন চালক। তরুণ আইপিএসের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।
২৬ বছরের হর্ষ বর্ধন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। ২০২৩ সালের আইপিএস ব্যাচে ছিলেন তিনি। সম্প্রতি কর্নাটকের হাসন জেলায় প্রথম পোস্টিং পেয়েছিলেন। চার সপ্তাহ ধরে ম্যায়সুরুতে চলেছে তাঁর প্রশিক্ষণ। সোমবার সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে দফতরে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। তার আগে রবিবারই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁর গাড়ি।
পুলিশের গাড়িতে চড়েই হাসনে নিজের দফতরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ওই আইপিএস। প্রথম চাকরি, প্রথম দায়িত্ব নিয়ে উৎসাহী ছিলেন। কিন্তু হাসন-ম্যায়সুরু হাইওয়ের উপর আচমকা তাঁর গাড়ির চাকা ফেটে ওঠে প্রচণ্ড শব্দে। চাকা ফেটে যাওয়ায় গাড়ি আর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি চালক। রাস্তার ধারে একটি বাড়ি এবং একটি গাছের সঙ্গে পর পর ধাক্কা খায় আইপিএসের গাড়িটি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত তুবড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু মাথায় আঘাত লেগেছিল। চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
দুর্ঘটনায় ওই গাড়ির চালকেরও চোট লেগেছিল। কিন্তু তাঁর চোট তেমন গুরুতর নয়। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘‘দীর্ঘ বছরের পরিশ্রমের পর যুবক সাফল্য পেয়েছিলেন। এত দিন পর তাঁর স্বপ্নপূরণ হয়েছিল। এটা হওয়া উচিত ছিল না। এই মৃত্যু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ওঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’’